অর্ণব দাস, বারাসত: দম্পতির মধ্যে কোন সমস্যা হয়েছে এই সন্দেহে পরিবারের আগে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেছিল বাড়িতে। কারোর সাড়া না পেয়ে স্বামীকে ফোন করেছিলেন এক স্থানীয়। ফোনে কথাও হয়েছিল। তারপরই মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পানিহাটি পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আজাদ হিন্দ নগরের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কাকে তাঁর স্বামী সুকান্তর খুন করার অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গলা টিপে শ্বাসরোধ করা হয় প্রথমে। খুনের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতেই বছর ছাব্বিশের গৃহবধূর দু’হাতের শিরা কেটে দেওয়া হয়েছে বলেই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে। তবে এখনও অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়নি। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, পেশায় গাড়িচালক সুকান্ত বছর আড়াই হল আট বছরের ছেলে ও স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে আজাদ হিন্দ নগরের বাড়িতে বসবাস করছে। শুরু থেকেই দম্পতির মধ্যে অশান্তি শুনতে পেতেন প্রতিবেশীরা। পরিবারের দাবি, প্রিয়াঙ্কার বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করত স্বামী। এনিয়ে ঝগড়ার সময় সুকান্ত স্ত্রীকে মারধর করত বলেও অভিযোগ। তাই মেয়ের খোঁজ রাখতে প্রায় প্রতিরাতেই ফোন করত পরিবারের কেউ না কেউ। সেই রকমই শনিবার অনুমানিক রাত ১০টার পর থেকে ফোন করছিল পরিবার, কিন্তু বন্ধ পাওয়ায় সন্দেহ হয় সকলের।
এরপর আনুমানিক রাত বারোটার পর মেয়ের খোঁজে বাড়িতে গিয়ে শোওয়ার ঘরের মেঝে থেকে উদ্ধার হয় গৃহবধূর মৃতদেহ। তখন বছর আটের সন্তান বা সুকান্তর খোঁজ মেলেনি। এনিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে এক স্থানীয় সুকান্তকে ফোন করেছিল। ফোনে তাকে পাওয়াও গেছিল। সূত্রের খবর, সেই স্থানীয় ফোনে বলেছিল, অনেক ডেকেও প্রিয়াঙ্কার সাড়া মিলছে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব সুকান্তকে বাড়িতে ফিরতে। যদিও সুকান্ত দেখছি বলে ফোন রেখে মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছিল।