সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঠের বাইরে তাঁকে নিয়ে প্রবল সমালোচনা। অধিনায়ক হওয়ার যোগ্যতা আদৌ তাঁর রয়েছে কিনা, তিনি ঠিকঠাক প্রথম একাদশ বাছতে পারছেন কিনা-নানা মুনির নানা মত। কিন্তু সেসব কথা টলাতে পারেনি শুভমান গিলকে। পরপর দুই টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন ভারত অধিনায়ক। খানিকটা মন্থরভাবে রান করলেও এজবাস্টনে ভারতীয় দলের ইনিংস কার্যত একা হাতে গড়লেন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘প্রিন্স’।
রোহিত শর্মার অবসরের পর গিল যখন ভারত অধিনায়ক হন, তখন ক্রিকেটবোদ্ধাদের একাংশ তুলে ধরেছিলেন তাঁর টেস্ট পরিসংখ্যান। তবে ইংল্যান্ড সফর থেকেই যেন সেই পরিসংখ্যান বদলের লক্ষ্যে নেমে পড়েছিলেন ‘নতুন ভারতে’র অধিনায়ক গিল। হেডিংলি টেস্টের প্রথম ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে সেঞ্চুরি এসেছিল। ১৪৭ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছেড়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ হন গিল। শেষ পর্যন্ত টেস্টও হেরে যায় ভারত।
হেডিংলিতে ভারতের হারের পর আরও বেড়ে যায় গিলকে ঘিরে সমালোচনা। বুধবার ভারতের প্রথম একাদশ প্রকাশ্যে আসার পরেও প্রশ্ন ওঠে, কেন সাই সুদর্শনকে বসিয়ে করুণ নায়ারকে খেলানো হল? কেন কুলদীপ যাদব নেই? সাতদিন বিশ্রাম পাওয়ার পরেও কেন জশপ্রীত বুমরাহকে এজবাস্টনে খেলানো হল না? আম ক্রিকেটপ্রেমী থেকে শুরু করে সুনীল গাভাসকরের মতো কিংবদন্তি-কেউই গিল-সহ গোটা ভারতের টিম ম্যানেজমেন্টকে তুলোধোনা করছেন। তবে মাঠে নেমে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলতে ভোলেননি গিল।
বুধবার ভারত অধিনায়ক যখন ব্যাট করতে নামলেন তখন ভারতের স্কোর ৯৫। সেখান থেকে প্রত্যেকটা রানের জন্য ক্রিজ কামড়ে পড়ে রইলেন। উলটোদিকে যশস্বী জয়সওয়াল, ঋষভ পন্থ, নীতীশ রেড্ডিরা আউট হয়ে গেলেও পিচে টিকে থেকেছেন গিল। তবে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন জো রুটকে সুইপ মেরে। তারপরেই সেই ‘প্রিন্সে’র মতো মাথা ঝুঁকিয়ে গ্রহণ করলেন দর্শকদের অভিবাদন গ্রহণ। ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা থামিয়ে দিতে অনেকখানি সফল হয়েছেন গিল। এবার নেতা গিলের সমালোচনা থামানো যাবে কি?