সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রেটার নয়ডার পর এবার আমরোহা জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম। ফের প্রকাশ্যে ‘রামরাজ্য’ উত্তরপ্রদেশের নারী নিরাপত্তার করুণ চিত্র। দাবিমতো পণ না দেওয়ায় ২৩ বছর বয়সি এক গৃহবধুকে অ্যাসিড খাইয়ে খুন করার অভিযোগ উঠছে তাঁরই শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধুর নাম গুলফিজা। বছর খানেক আগে পারভেজ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। নিহত গুলফিজার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণ বাবদ ১০ লক্ষ টাকা নগদ ও একটি গাড়ি দাবি করতে থাকে গৃহবধুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পণ না পেয়ে তাঁদের মেয়ের সঙ্গে দূর্ব্যবহার ও অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠছে, গত ১১ আগস্ট গুলফিজাকে জোর করে অ্যসিড পান করায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়রা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা ১৭ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মানে গুলফিজা। বৃহস্পতিবার সে মৃত্য়ুর কোলে ঢলে পড়ে।গুলফিজার বাবা ইতিমধ্যেই মেয়েকে খুন করার অভিযোগ এনেছে শ্বশুরবাড়ির ৭ সদস্যের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত গৃহবধুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই পণজনিত এই মৃত্যু নিয়ে কোন কোন ধারা লাগু হবে তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। অভিযুক্তদের অবশ্য গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই গ্রেটার নয়ডায় পণের দাবিতে গৃহবধু হত্যার ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। ২৬ বছরের এক গৃহবধুকে শ্বশুরবাড়িতে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পুলিশ তার স্বামী, শ্বশুর, ভাসুর-সহ স্বামীর পরিবারের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গুলফিজার মৃত্যুও যে যোগী সরকারের নারী নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলছে তা কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না।