পণের চাপ, চুল কেটে ‘কুরূপা’ করার চেষ্টা! মেয়েকে মেরে শারজায় আত্মঘাতী ভারতীয় গৃহবধূ

পণের চাপ, চুল কেটে ‘কুরূপা’ করার চেষ্টা! মেয়েকে মেরে শারজায় আত্মঘাতী ভারতীয় গৃহবধূ

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত গৃহবধূর ‘আত্মহত্যা’ ঘিরে চাঞ্চল্য। গত ৮ জুলাই নিজের দেড় বছরের ছোট্ট মেয়েকে খুন করে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর মায়ের। স্বামী, শ্বশুর ও ননদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি। ফেসবুকে তিনি সুইসাইড নোট পোস্ট করেছিলেন বলেও জানা যাচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, কেরলের কোল্লাম থানায় মৃতার মা এফআইআর দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছে, তাঁর মেয়ে ৩২ বছরের বিপঞ্জিকা মণি ও দেড় বছরের মেয়ে বৈভবী থাকতেন শারজায়। তাঁর স্বামী নিধীশ, ননদ নীতু ও শ্বশুরও সেখানে থাকতেন। অভিযোগ, নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হত তাঁর উপরে। নিয়মিত পণের চাপ দেওয়া হত। বলা হত, যা পণ দেওয়া হয়েছে সেটা যথেষ্ট নয়। এখানেই শেষ নয়, বিপঞ্জিকার গায়ের রং ফরসা এবং তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির গায়ের রং শ্যামবর্ণ হওয়ার কারণেও নাকি নিয়মিত গঞ্জনা দেওয়া হত। এমনকী, চুলও কেটে দেওয়া হত ‘কুরূপা’ করে তোলার জন্য। পরে নিধীশের পরকীয়ায় জড়ানোর অভিযোগ তুললে বিপঞ্জিকাকে ডিভোর্সের নোটিসও পাঠানো হয়। আর লাগাতার এই অত্যাচার সইতে না পেরেই তাঁর মেয়ে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিল বলে দাবি।

পাশাপাশি বিপঞ্জিকার মায়ের আরও অভিযোগ, মেয়েকে নিয়মিত পর্ন ভিডিও দেখাতেন জামাই। এবং বিছানাতেও সেই ভাবেই যৌনতা করার ‘হুকুম’ করত। বিপঞ্জিকা তাঁর সুইসাইড নোটে লিখেছেন, ‘ওই সব ভিডিও দেখিয়ে ওইরকম আচরণ করতে বলত বিছানায়। না শুনলে মারধর করত। আমাকে কুকুরের মতো মারধর করা হত। আমি আর নিতে পারছি না। ওরা যেন রেহাই না পায়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *