সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির বুরারি কাণ্ডের ছায়া হরিয়ানার পঞ্চকুলায়। বন্ধ গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হল একই পরিবারের ৭ জনের দেহ। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, বিপুল ঋণে ডুবে ছিল পরিবারটি। যার জেরেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে গোটা পরিবার।
পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে, মৃত পরিবার উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের বাসিন্দা। মৃতদের তালিকায় রয়েছেন প্রবীণ মিত্তল, তার বাবা দেশরাজ মিত্তল, স্ত্রী, মা, দুই মেয়ে ও ছেলে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দেরাদুন থেকে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চকুলার বাগেশ্বর ধামে আয়োজিত হনুমান কথা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন প্রবীণ মিত্তল। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর গাড়িতে দেরাদুন ফিরছিলেন তারা। পথে একজায়গায় গাড়ি থামিয়ে বিষ মেশানো খাবার খায় তারা। যার জেরেই এই ঘটনা। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, মিত্তাল পরিবার ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস-এর ব্যবসা শুরু করেছিল। সেই ব্যবসায় বিরাট ক্ষতি হয় তাঁদের। যার জেরে আর্থিক সংকট তীব্র আকার নেয়। তার উপর ঘাড়ের উপর বিপুল দেনা জেরে চরম সিদ্ধান্ত নেয় মিত্তাল পরিবার।
উল্লেখ্য, এভাবে গণআত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা দেশে এই প্রথমবার নয়, এর আগে একই ঘটনা সাক্ষী থেকেছিল দিল্লির বুরারি। ২০১৮ সালে ১ জুলাই দিল্লির বুরারির চুন্দাওয়াত পরিবারের ১১ জন সদস্যের দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। তাঁরা প্রত্যেকেই আত্মহত্যা করেছিল বলেই মনে করা হয়। তদন্তে পুলিশ সাইকোসিস ও শেয়ার্ড ডিলিউশন সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরে। এবার পঞ্চকুলার এই ঘটনায় নেপথ্যে তেমন কিছু রয়েছে কি না সেই দিকও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।