সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপাল থেকে বিহার সীমান্ত হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে ৩ পাকিস্তানি নাগরিক। তারা কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য বলেই দাবি করেছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। সেই দাবি অস্বীকার করেছে নেপাল সরকার।
নেপাল পুলিশ, অভিবাসন দপ্তর ও কাঠমান্ডু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ শুক্রবার জানিয়েছে, ওই ৩ পাকিস্তানি নাগরিক ২টি ভিন্ন বিমানে নেপাল থেকে মালয়েশিয়া পৌঁছেছে। নেপাল অভিবাসন দপ্তরের মুখপাত্র টিকারাম ঢাকাল জানিয়েছেন, ৩ পাকিস্তানির মধ্যে ২ জন হাসনাইন আলি ও আদিল হুসেন গত ১৫ আগস্ট রাতের বিমানে কুয়ালালামপুর উড়ে যায়। অন্যজন মহম্মদ উসমান একই গন্তব্যে রওনা দিয়েছে গত রবিবার রাতের বিমানে।
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই সীমান্তে কড়া নজরদারি চলছে। একাধিক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফের ভারতে বড়সড় হামলার ছক কষছে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। নেপাল হয়ে বিহারে প্রবেশ করেছে তাদের তিন জঙ্গি। বিহার পুলিশকেও সতর্ক করা হয়েছে। তারপরই রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে ‘হাই অ্যালার্ট’।
এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিন পাক জঙ্গি কাঠমান্ডুতে পৌঁছয়। তারপর সেখান থেকে গত বিহারে প্রবেশ করেছে। ইতিমধ্যেই ওই তিন জেহাদির ছবি প্রকাশ করে রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করেছে বিহার পুলিশ। জানানো হয়েছে, সন্দেহজনক কিছু দেখলেই যেন তৎক্ষণাৎ পুলিশে খবর দেওয়া হয়। জঙ্গিদের খোঁজে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি।
পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই জঙ্গি অনুপ্রবেশ নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারতীয় সেনা। সাম্প্রতিককালে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্ত দিয়ে একাধিকবার জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে পাকিস্তানি জঙ্গিরা। অবশ্য ভারতীয় সেনার তৎপরতায় সেই চেষ্টা রুখে দিয়েছেন জওয়ানরা। তাই ভারতে প্রবেশের জন্য অন্য রাস্তা খুঁজছে জঙ্গিরা। বিহারের দিকে ভারত-নেপাল সীমান্তে প্রায় ৭২৯ কিলোমিটার উন্মুক্ত। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এটি অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান কারবারের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাক জঙ্গি অনুপ্রবেশের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কারণে বিহারে আগে থেকেই আঁটসাট করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মধুবনী, সীতামারহি, সুপৌল, আরারিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারণ- সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।