নেতার ‘ইয়েসম্যান’ হওয়ার ঝোঁক বাড়ছে, এবার মিশন মোডে যাচ্ছে সিপিএম, কী বললেন সেলিম?

নেতার ‘ইয়েসম্যান’ হওয়ার ঝোঁক বাড়ছে, এবার মিশন মোডে যাচ্ছে সিপিএম, কী বললেন সেলিম?

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পার্টিতে নেতার ইয়েসম্যান হয়ে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে, পদ বাগিয়ে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এমনই অভিযোগ উঠল বঙ্গ সিপিএমের রাজ‌্য সম্মেলনের তৃতীয় দিনে। পাশাপাশি শোনা গেল ক্যাডারতন্ত্রের অভিযোগ। একাধিক জেলার প্রতিনিধিদের এহেন সমালোচনার মুখে পড়ল আলিমুদ্দিন।

দক্ষিণবঙ্গের এক জেলার প্রতিনিধির বক্তব‌্য, নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়া মানেই বড় নেতা নয়। আরেক প্রতিনিধির কথায়, অনেক ক্ষেত্রেই কমবয়সি সর্বক্ষণের কর্মীরা বঞ্চিত। কাজের সঠিক মূল‌্যায়ন হচ্ছে না পার্টিতে। পাশাপাশি সংগঠনকে আন্দোলনমুখী করা যাচ্ছে না বলেও আলোচনায় তুলে ধরেছেন প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধিদের আলোচনা নিয়ে বলতে গিয়ে সোমবার রাজ‌্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “সংগঠনকে আন্দোলনমুখী করার কথা উঠে এসেছে আলোচনায়।”

প্রতিনিধিদের আলোচনার মাধ্যমে এমনও উঠে এসেছে যে, গত কয়েক বছরে বেশ কিছু ঘটনায় সিপিএমের গণ সংগঠন আন্দোলনে হইহই করে নামলেও তার রেশ পরে ধরে রাখা যায়নি। ভোটবাক্সেও তা প্রতিফলিত হয়নি। পার্টিরও কোনও সুবিধা হচ্ছে না। যেমন, আর জি কর নিয়ে সিপিএমের আন্দোলনের কোনও প্রভাব নির্বাচনে দলের ভোটবাক্সে পড়েনি। জঙ্গি শ্রেণি আন্দোলন গড়ে তোলা যাচ্ছে না বলেও উদ্বেগ শোনা গিয়েছে। প্রতিনিধিরা বলেছেন, এক ফলে গ্রামীণ প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছনো যাচ্ছে না। আন্দোলন সংক্রান্ত দুর্বলতার কথা পরোক্ষে কার্যত এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন সেলিম। জানিয়েছেন, পার্টিকে এবার আন্দোলনমুখী করতে ‘প্রজেক্ট বেসড মিশন’ নেওয়া হচ্ছে।

সেলিমের বক্তব‌্য, ‘‘ঠিক করা হয়েছে প্রজেক্ট বেসড মিশন মোডে আন্দোলনকে নিয়ে যাওয়া হবে। শাখা-এরিয়া-জেলা কমিটি কার, কী কাজ থাকবে, সেটা ঠিক করে দেওয়া হবে। আগামী তিন বছরের কর্মসূচি ঠিক করা হবে।’’ এই আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে এদিন রাতে সম্মেলনের বিশেষ অধিবেশনেই আলোচনা করা হয়। কাল সকালেই তা চূড়ান্ত হওয়ার কথা। প্রতিনিধিরা নাছোড়বান্দা লড়াই চাইছেন বলে সেলিম এদিন জানান। তিনি বোঝাতে চান, কোনও ঘটনা বা ইস্যুতে শুরু হওয়া সিপিএমের আন্দোলন এখন মাঝপথে থমকে যাচ্ছে। সেই দুর্বলতা কাটাতেই এবার নয়া কৌশল নিতে চাইছে আলিমুদ্দিন। যদিও পার্টির বর্তমান সাংগঠনিক দুর্বলতায় সেটা যে চ‌্যালেঞ্জ, তাও মেনে নিচ্ছে সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেলিম সোমবার বলেন, “বিভাজনের রাজনীতি রুখতে নতুন পথে এগোবে পার্টি। আগে কোথাও হিংসা হলে পরে পার্টি সেখানে শান্তি মিছিল করত। কিন্তু এবার হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হলেই পার্টি কর্মীরা রাস্তায় থাকবে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *