শম্পালী মৌলিক: ‘রসগোল্লা’, ‘লক্ষ্মীছেলে’র সুবাদে অভিনেতা হিসেবে দক্ষতার স্বাক্ষর আগেই রেখেছেন। এবার পরিচালনায় হাতেখড়ি উজান গঙ্গোপাধ্যায়ের। নেটফ্লিক্সের নতুন সিরিজ দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন চূর্ণী-কৌশিকপুত্র। ফিল্মি পরিবারে বেড়ে ওঠার পাশাপাশি অক্সফোর্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে উজানের উচ্চশিক্ষাও সিনেমা এবং বিশ্ব সাহিত্য নিয়ে। এবার নিজের প্রথম পরিচালনার কাজেও মহাচমক দিতে চলেছেন উজান।
অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ নেটফ্লিক্সের পর্দায় আসছে ‘কুরুক্ষেত্র’। যে সিরিজের গল্প সাজানোর পাশাপাশি পরিচালনার দায়িত্বে উজান গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, মহাভারতের মতো মহাকাব্যকে পর্দায় তুলে ধরা যে কোনও পরিচালকের কাছে চ্যালেঞ্জিং। উপরন্তু নেটফ্লিক্সের এই সিরিজ তৈরি হচ্ছে পুরোপুরি অ্যানিমেশনে। কীভাবে শুরুটা হল? জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল উজানের সঙ্গে। প্রচণ্ড জ্বর, গলাব্যথা সত্ত্বেও একরাশ উচ্ছ্বাস নিয়ে সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এর ফোনে ধরা দিলেন টলিউডের ‘লক্ষ্মীছেলে’। উজানের মন্তব্য, “পুরো সিরিজটাই থ্রি ডি অ্যানিমেশনে তৈরি। এই কাজটি ২০২২ সাল থেকে শুরু করেছিলাম। আমাদের টিম সবার প্রথমে বসে এই বিষয়ে রিসার্চ করে। তারপর চিত্রনাট্য সাজানো হয়। আর সেটাই পরবর্তীতে থ্রি ডি অ্যানিমেশনে রূপান্তরিত করা হয়। অনেকগুলো ধাপ। আগে কখনও এই ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলেও ‘কুরুক্ষেত্র’ সিরিজের পরিচালনা করতে গিয়ে শিখতে শিখতে গিয়েছি। এখন যদিও অনেকটাই রপ্ত করে ফেলেছি।”
‘মহাভারত’-এর গল্প অ্যানিমেশনের মোড়কে পরিবেশন করা ‘রাজসূয় যজ্ঞে’র তুলনায় কম কিছু নয়! এপ্রসঙ্গে উজান জানালেন, “‘কুরুক্ষেত্র’র কাজ হয়েছে বম্বে, কলকাতা এবং পুণে মিলিয়ে। আসল কাজটা অবশ্য মুম্বইতে হলেও কলকাতাতেও অ্যানিমেশনের অনেকটা কাজ হয়েছে। মহাভারতের গল্প কিংবা সাহিত্যের যে মান, সেটা যতটা সম্ভব আমরা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি এই সিরিজে। কারণ শৈশব থেকেই আমাদের সকলেরই হয়তো ‘মহাভারত’ নিয়ে কম-বেশি স্মৃতি রয়েছে। আমার ভাইদেরও দেখেছি, টিভিতে ‘মহাভারত’ দেখে ভীমবেশে দৌড়াদৌড়ি করতে। শৈশবের সেই স্মৃতিগুলিকেই এবার ‘কুরুক্ষেত্র’র সঙ্গে ঝালিয়ে নেওয়ার পালা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন