‘নীরজকে নিয়ে…’, ভারত-পাক সংঘাত আবহে সেনার পাশে দাঁড়িয়ে কী বললেন নাদিম?

‘নীরজকে নিয়ে…’, ভারত-পাক সংঘাত আবহে সেনার পাশে দাঁড়িয়ে কী বললেন নাদিম?

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব কার্যত অস্বীকার করেছিলেন নীরজ চোপড়া। এবার সেই আরশাদ নাদিম পালটা জানালেন, ভারতের সোনার ছেলেকে নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না। ফলে প্রশ্ন উঠছে, একটা সময়ের ‘বন্ধুত্ব’ কি শেষ হয়ে গেল ভারত-পাক সংঘাতের আবহে? দুই দেশের সৌহার্দ্যের এক শক্তিশালী ছবি মুছে গেল চিরতরে?

নিজের নামাঙ্কিত প্রতিযোগিতায় ‘বন্ধু’ আরশাদকে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রবল বিতর্কের মধ্যে পড়েছিলেন নীরজ। তাঁর পরিবারকেও কটু কথা শোনাতে ছাড়েনি নেটদুনিয়া। দীর্ঘ বিবৃতি জারি করে নীরজ বলেন, একজন খেলোয়াড় হিসাবে আরেক খেলোয়াড়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। ভারতে মাটিতে যেন সেরা তারকারা খেলতে পারেন, এমনটাই উদ্দেশ্য ছিল নীরজের। তবে শেষ পর্যন্ত জানা যায়, নীরজের ডাকে সাড়া দিয়ে ভারতে আসছেন না আরশাদ। এমনকি ভারত-পাক সংঘাতের আবহে নীরজের নামাঙ্কিত টুর্নামেন্টটিও বাতিল হয়ে যায়।

তারপরে দোহায় ডায়মন্ড লিগ প্রতিযোগিতার আগে নীরজকে প্রশ্ন করা হয়, মাঠের বাইরে আরশাদের সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে কি সেটা অটুট থাকবে? উত্তরে নীরজ বলেন, “আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই যে ওর সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক নেই। আমার সঙ্গে কেউ ভালোভাবে কথা বললে আমিও সেই সম্মানটা দিই। অ্যাথলেটিক্স দুনিয়ায় অনেকেই আমার বন্ধু।” উল্লেখ্য, এই প্রতিযোগিতায় নীরজ দ্বিতীয় হলেও আরশাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।

ডায়মন্ড লিগের বেশ কয়েকদিন পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরশাদ বলেন, “এখন ভারতের সঙ্গে সংঘাত চলছে। তাই নীরজ চোপড়াকে নিয়ে আমি কিছু বলব না। আমি একটা গ্রাম থেকে উঠে এসেছি। তাই একটা কথাই বলতে চাই। আমি এবং আমার পরিবার সবসময় আমাদের দেশের সেনার পাশে রয়েছি। সেনার পাশেই থাকব।” প্যারিস অলিম্পিকে সোনাজয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ারের এমন মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি নীরজ-নাদিমের বন্ধুত্বে পাকাপাকিভাবে দাঁড়ি পড়ে গেল? সোনাজয়ের পর যে নাদিমকে নিজের ছেলে বলে কাছে টেনে নিয়েছিলেন নীরজের মা, সেই নাদিমের সঙ্গে কি সম্পর্ক চিরতরে ঘুচে গেল? দেশের ভেদাভেদ ভুলে সম্প্রীতির বার্তা বহন করতেন নীরজ-নাদিম, সেই সম্প্রীতি কি তবে বিলুপ্ত হওয়ার পথে?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *