সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে কোনও নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই বলেই সদ্য আশ্বস্ত করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম। কিন্তু একেবারে ভিন্ন সুর বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির। তারা জানিয়েছে, নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা করা নিয়ে বেড়েই চলেছে আশঙ্কা ও উদ্বেগ।
শুক্রবার কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৯টি পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। যদিও ইউনুস থেকে সেদেশের সেনাপ্রধান কিংবা প্রশাসনের অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরা আশ্বস্ত করছেন, সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় এরপরও উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। এবং পুজোর দিনগুলোয় আরও বেশি হিংসাত্মক ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সামগ্রিক ভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সঠিক পদক্ষেপের আবেদন জানানো হচ্ছে কমিটির তরফে।
এদিকে, দেশের হিন্দু সম্প্রদায় যাতে আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপুজো নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করতে পারে, সেজন্য অতীতের মতো এবারও তাদের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেছে বিএনপি। অপরদিকে, দুর্গামণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি তোলেন। রাশেদ খানের বক্তব্য, ‘দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে প্রতিমা ভাঙচুর বা মন্দিরে হামলা করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারে পরাজিত শক্তি এবং সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা অদৃশ্য শক্তি বা ফ্যাসিবাদের দোসররা। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও জনগণকে সজাগ থাকতে হবে। সরকারকেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’