‘নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা,’ ফের ইউনুসের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ বিএনপির

‘নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা,’ ফের ইউনুসের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ বিএনপির

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজটাল ডেস্ক: অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। এই ভাষাতেই ফের মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাংলাদেশে নির্বাচনের তোরজোড় শুরু হতেই আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে আন্দোলনে নেমেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদল। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এরপরেও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টালাবাহানা চলছে বলে অভিযোগ তুললেন খালেদা জিয়ার দল বিএনপি।

মাস খানেক আগে মহম্মদ ইউনুস জানিয়েছিলেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে পরের বছর জুনের মধ্যেই ভোট হবে দেশে। যদিও সেই সময় কোনও সুস্পষ্ট তারিখ জানাননি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। যা নিয়ে ক্ষোভ ছিল বিএনপির। তাদের আশঙ্কা এভাবে নির্বাচন বিলম্ব করার চেষ্টা চলছে। সেবার দ্রুত ভোটের দাবিতে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল খালেদা জিয়ার দল। মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন মির্জা ফখরুল। সেখাানে তিনি বলেন, হাজার হাজার ছাত্র–জনতার রক্তের বিনিময়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার এবং সত্যিকার অর্থে ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, সেখানেও একটি ‘কালো ছায়া’ এসে দাঁড়াচ্ছে। জনগণকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা এবং ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী বিএনপি মহাসচিব দেশে ‘বিভাজনের রাজনীতি’ হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “গোত্রে গোত্রে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পরস্পরের মুখোমুখি করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।” যোগ করেন, “কিছু মানুষ যারা সরকারের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।” এমন পরিস্থিতিতে দলের প্রতিটি নেতা–কর্মীকে সতর্ক অবস্থায় থেকে যেকোনও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গত মার্চে ইউনুসকে বলতে শোনা গিয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলো যদি ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ নিয়ে একমত হয়, তবে ভোট ডিসেম্বরেই হতে পারে। তবে তারা যদি ‘বৃহৎ সংস্কার প্যাকেজ’ গ্রহণ করে, তাহলে নির্বাচন আগামী বছরের জুনে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি এখনও রাষ্ট্র সংস্কারের উপর জোর দিচ্ছেন। এতেই বিএনপি নেতাদের ধারণা, সংস্কারের অজুহাত দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ আরও দীর্ঘায়িত করার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে। তাই দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে খালেদার দল। পাশাপাশি এই বিষয়ে বার প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ খুলছ তারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *