রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: নির্ধারিত কর জমা না দেওয়ার অভিযোগ। বুধবার রাতে দিঘার একাধিক হোটেলে তালা ঝুলিয়ে দিল দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক ও পুলিশকর্তারা। মাঝরাতে পথে পর্যটকরা। পরিবার-বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে প্রবল সমস্যায় পর্যটকরা। রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছে তাঁরা।
জানা গিয়েছে, দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্দেশিকা অনুযায়ী হোটেলে আসা পর্যটক পিছু ১০ টাকা করে কর দেওয়ার কথা। অভিযোগ, সেই করের টাকা দিচ্ছিল না বেশ কয়েকটি হোটেল। সেই কারণেই বুধবার রাতে হোটেলে হানা দেন দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক ও পুলিশকর্তারা। রাতেই পর্যটকদের বের করে ওল্ড দিঘার হোটেল শ্যাম সুন্দর আবাস, নয়নতারা হোটেল-সহ একাধিক হোটেল বন্ধ করে দেন তাঁরা। উন্নয়ন পর্ষদের এক আধিকারিক জানান, পর্যটক পিছু যে কর জমা করতে হয়, সেই টাকা জমা না করায় নোটিস পাঠানো হয় পর্ষদের পক্ষ থেকে। তারপরও কর জমা না করায় হোটেল বন্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে হোটেল ব্যবসায়ী দেবব্রত দাসের কথায়, “কোনও কারণে সরকারি কর জমা করতে পারেনি। তাই বলে পর্যটকদের বের করে হোটেলে তালা দেওয়া উচিত হয়নি।” তিনি বলেন, “আমরা তিলে তিলে দিঘাকে গড়ে তুলেছি। সরকারও চায় না ব্যবসায়ীদের বাদ দিয়ে এলাকায় উন্নয়ন করতে। কিছু প্রশাসনিক আধিকারিকের মদতে দিঘায় দিনের পর দিন ব্যবসায়ীদের উপর অত্যাচার চলছে।” দিঘা-শংকরপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা রাতে না করে সকালে করলে ভালো হতো। রাতে পর্যটকদের সমস্যায় ফেলানো হলো।”