সুমন করাতি, হুগলি: স্বামী পূর্ণমকুমার সাউকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান রজনী। পাকিস্তানে বন্দি থাকার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে খোঁজ নিতেন। ফোনে ভরসা জোগাতেন। শুধু তাই নয়, পূর্ণম দেশে ফিরে আসার দিনও রজনীকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ শনিবার স্বামীকে পাশে নিয়ে সেই কথাই বললেন রজনী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ পূর্ণমও।
দীর্ঘ একমাস পাক রেঞ্জার্সের হাত বন্দি ছিলেন পূর্ণম। এদিকে পাকিস্তানে বন্দি থাকাকালীন স্বামীর জন্য শনিবারের ব্রত করেছিলেন স্ত্রী রজনী। গত ১৪ তারিখ পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফেরেন পূর্ণম। গতকাল শুক্রবার হুগলির রিষড়ার বাড়িতে তিনি এসেছেন। ঘরের ছেলে ফিরে আসায় পরম আনন্দিত জওয়ানের বাড়ির লোকজন। ছেলেকে জড়িয়ে ধরেছেন বাবা-মা। স্বামীর অপেক্ষায় থাকা রজনী একসময় আনন্দে কেঁদেও ফেলেছিলেন। বাড়ি-সহ গোটা এলাকাতেই কার্যত উৎসবের মেজাজ। আজ শনিবারও পূর্ণমের বাড়িতে কার্যত আত্মীয়স্বজনদের ভিড়। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এসেছিলেন পূর্ণমের সঙ্গে দেখা করতে। জওয়ানকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিন রজনী সাউ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। পাকিস্তানে পূর্ণমকে আটকে রাখার সময় চার-পাঁচবার রজনীকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবার রজনীকে সাহস জুগিয়েছেন তিনি। বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। পূর্ণম ফিরে আসবেন। রজনীকে দুশ্চিন্তা না করতে বলেছিলেন মমতা। গত ১৪ তারিখ পূর্ণম মুক্তি পেয়ে পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরেছিলেন। ওই দিনও রজনীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রজনীকে ফোন করেছিলেন। সেসময় পূর্ণমকে ‘আমাদের ভাই’ বলে ফোনে সম্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, রজনী ও পরিবারের সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। আজ শনিবার স্বামীকে পাশে নিয়ে সেই কথাই বললেন রজনী। মুখ্যমন্ত্রী পাশে থেকেছেন। সেজন্য আপ্লুত রজনী। সুযোগ হলে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করতে চান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন পূর্ণমের স্ত্রী রজনীকে। সেসব বিষয় বাড়ি ফিরে শুনেছেন পূর্ণম। এদিন জওয়ান বলেন, “দিদি ফোন করেছিলেন, কৃতজ্ঞ।” তবে পাকিস্তানকে ছেড়ে কথা বলার পাত্র নন বীর এই জওয়ান। তিনি সাফ বলেন, “সবাই আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন, অবশেষে বাড়ি ফিরেছি। ট্রেনিংয়ের সময় আমাদের শেখানো হয়, ভয় পেলে চলবে না, আমরা কোনও কিছুতেই ভয় পাই না। পাকিস্তান সবসময় আমাদের টার্গেটে থাকে।”