সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ও ২৬ জনের মৃত্যু ঘটনায় এবার মোদি সরকারকে নিশানা রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের। রীতিমতো সুর চড়িয়ে মোদি সরকারের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়লেন, নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ৩০০-৪০০ কিমি দূরে অবস্থিত বৈসরণ ভ্যালিতে কীভাবে পৌঁছল জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, সংঘর্ষবিরতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপ ইস্যুতেও সরব হলেন তিনি।
গত ২২ এপ্রিল ও পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ভারতের অপারেশন সিঁদুর গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাকভূমে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর। সেই প্রসঙ্গ টেনেই রবিবার মোদি সরকারকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেন শচীন। তিনি বলেন, “পহেলগাঁও নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে প্রায় ৩০০-৪০০ কিলোমিটার দূরে। জঙ্গিরা সকলের নজর এড়িয়ে এতদূর কীভাবে পৌঁছল? কেন্দ্র জানিয়েছে অপরাধীদের চিহ্নিত করা হয়েছে? কিন্তু তারপর কী হল? তারা কি ধরা পড়েছে নাকি তাঁদের হত্যা করা হয়েছে? সরকারের উচিত দেশবাসীর সামনে তা স্পষ্ট করা।”
শুধু তাই নয়, ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির নেপথ্যে নিজের কৃতিত্ব দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিন সেই ইস্যুতেও সরব হন শচীন। রীতিমতো আক্রমণের সুরে তিনি বলেন, “এই প্রথমবার অন্য কোনও দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নাক গলালো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নাকি বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে এই কাজ করেছেন। অথচ সরকার এখনও সরাসরি ট্রাম্পের দাবিকে খণ্ডন করেনি। তার চেয়েও দুঃখজনক বিষয় আমেরিকার রাষ্ট্রপতি উপরাষ্ট্রপতি বা বিদেশমন্ত্রী কেউই পহেলগাঁও হামলাকে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাস বলে উল্লেখ করেনি।” সরকারের কাছে এই বিষয়ে জবাবদিহি চেয়ে বিশেষ অধিবেশনের পক্ষে সওয়াল করেন শচীন পাইলট।
যদিও ভারতীয় সেনা, বিদেশ সচিব, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বারবার জানিয়েছেন, ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতিতে তৃতীয় পক্ষের অস্তিত্ব নেই। রবিবার এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একই কথা জানিয়েছেন। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি হয়েছে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায়। সেখানে তৃতীয় কারও অস্তিত্বই নেই।