সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অদ্ভুত এক সমস্যার মুখে পড়ল পাকিস্তান। এমনিতেই বেশ কয়েক মাস হয়ে গেল সেদেশে শ্যাম্পু, সাবান ও রেজারের ঘাটতির কারণে প্রবল অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এর মধ্যেই একদিন আগে মার্কিন সংস্থা ‘প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল’ ঘোষণা করেছে তারা পাকিস্তান থেকে পাততাড়ি গোটাচ্ছে। এই ঘোষণার পরই জনমানসে তৈরি হয়েছে আলোড়ন।
শ্যাম্পু ও সাবান নির্মাতা ওই মার্কিন সংস্থা গত এপ্রিলেই ঘোষণা করেছিল তারা বিশ্বব্যাপী তাদের বাণিজ্য পরিকাঠামোর পুনর্নিমাণ ঘটাবে। আর তারই ফলশ্রুতি ‘চ্যালেঞ্জিং’ বাজারগুলি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত। পাকিস্তানের অস্থির রাজনৈতিক-সামাজিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সেখান থেকে ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ভোগ্যপণ্যের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্থাটি। আর এই ঘোষণার পরই মাথায় হাত পাকিস্তানিদের। জিলেট রেজার, হেড অ্যান্ড শোল্ডারস, প্যানটিন, প্যাম্পার্স ডায়াপার এবং টাইড ডিটারজেন্ট-সহ বেশ কয়েকটি বিখ্যাত শ্যাম্পু ও সাবান ব্র্যান্ডের প্রস্তুতকারক সংস্থাটি বাজার থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে পাকিস্তানে সাবান-শ্যাম্পুর বিপুল ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরেই ক্রমাগত মুখ থুবড়ে পড়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। ফলে বাজার ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হচ্ছে। বড় বড় সংস্থাগুলি নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে। ২০২১ সালে পাকিস্তানের শ্যাম্পু আমদানি ছিল ৪৯০০ টন। যা কমে ২০২৩ সালে দাঁড়ায় ১ হাজার টনে। কেবল শ্যাম্পু নয়, রেজার বা সাবানের ক্ষেত্রেও ছবিটা একই। জিলেটের প্রাক্তন সিইও জানাচ্ছেন, বিদ্যুতের খরচ ক্রমশ বাড়তে থাকা এবং দুর্বল পরিকাঠামোও অন্যতম কারণ এই পরিস্থিতির জন্য।
এহেন পরিস্থিতিতে ‘প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল’ সরে যাওয়ায় ২৪ কোটি পাকিস্তানির চুলের প্রসাধন কিংবা ক্ষৌরকর্মের কী উপায় হবে তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে। কটাক্ষ করে পাকিস্তানি নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন, ‘তাহলে কি স্নান করা কিংবা কাপড় কাচাও বন্ধ করে দিতে হবে?’ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সংস্থাগুলি সরে যাওয়ার ফলে বহু মানুষ চাকরি খোয়াবেন। অন্যদিকে কালোবাজারি হওয়ার ফলে অগ্নিমূল্যে বিক্রি হবে শ্যাম্পু-সাবানের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী।