নারী নাকি পণ্য! অল্প দামে কিনে চড়া দামে বিক্রি, রাজস্থানে বিরাট চক্র এনজিও’র, কিংপিন এক মহিলাই

নারী নাকি পণ্য! অল্প দামে কিনে চড়া দামে বিক্রি, রাজস্থানে বিরাট চক্র এনজিও’র, কিংপিন এক মহিলাই

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দরিদ্র মেয়েদের কিনে মোটা টাকায় বিক্রি! দিনের পর দিন এই কাণ্ড চালাত রাজস্থানের এনজিও। জানা গিয়েছে, পাচারকারীদের থেকে মেয়েদেরকে আনা হত ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায়। তারপর গণবিবাহের আয়োজন করে ওই মেয়েদের বসিয়ে দেওয়া হত। বিনিময়ে মোটা টাকা ঢুকত এনজিওর পকেটে। গোটা ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে উঠে এসেছে গায়ত্রী বিশ্বকর্মার নাম, যিনি ওই এনজিওর ডিরেক্টর।

রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গায়ত্রী সমাজসেবা ফাউন্ডেশন নামে ওই এনজিওকে ঘিরে। জয়পুর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সুজনপুরা নামে একটি গ্রামের বাগানবাড়িতে অফিস ছিল তাদের। সেখানেই রমরমিয়ে চলত মানবপাচার চক্র। কীভাবে কাজ করত এই এনজিও? একাধিক মানবপাচারকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল তাদের। বিহার, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গের মতো বিভিন্ন রাজ্য থেকে দরিদ্র মেয়েদের নিয়ে আসত পাচারকারীরা। সেই মেয়েদেরকে পাচারকারীদের থেকে কিনে নিত এনজিও।

এখানেই শেষ নয়। পাচার হয়ে যাওয়া মেয়েদের ফের বিক্রি করে দিত এই এনজিও। বিবাহযোগ্য পাত্রদের কাছে আড়াই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হত এই মেয়েদের। বয়স, গায়ের রং এবং উচ্চতা দেখে ঠিক করা হত পাত্রীর ‘দাম’। এমনকি নাবালিকাদের ভুয়ো আধার কার্ডও তৈরি করা হত, যাতে তাদের বিবাহযোগ্য বয়সের উল্লেখ করা যায়। গণবিবাহের আয়োজন করে এই মেয়েদের বিয়ে দিত গায়ত্রী। অন্তত দেড় হাজার গণবিবাহের আয়োজন করেছে ওই এনজিও, এমনটাই জানা গিয়েছে।

কীভাবে প্রকাশ্যে এল এই ঘৃণ্য চক্র? গত রবিবার ওই এনজিওর দপ্তর থেকে কোনওমতে পালিয়ে এসেছিল ১৬ বছরের এক কিশোরী। পুলিশের কাছে গিয়ে গোটা বিষয়টি জানায় সে। তারপরেই এনজিওর অফিসে গিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তখনই গ্রেপ্তার করা হয় গায়ত্রী-সহ চারজনকে। স্থানীয়দের মতে, যেহেতু গ্রামের একপ্রান্তে এনজিওর দপ্তর, তাই এত বড় বিষয়টি নজরে আসেনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *