‘নাগালে পেয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছি’, বাঁকুড়ায় স্বামীকে খুনের পরেও নির্বিকার স্ত্রী!

‘নাগালে পেয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছি’, বাঁকুড়ায় স্বামীকে খুনের পরেও নির্বিকার স্ত্রী!

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: মদ্যপ স্বামীকে লাঠির ঘায়ে খুন করলেন স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ওন্দা থানার বিনোদনগরে। মৃত ব্যক্তির নাম বিকাশ মাল(৪১)। পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রী সুরেখা মালকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতকে আজ রবিবার আদালতে তোলা হয়। স্বামীকে খুন করে মোটেও অনুতপ্ত নন স্ত্রী। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন তক্কে ত্বকে ছিলাম। হাতের নাগালে পেয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছি।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি শনিবার দুপুরের। ওন্দা ব্লকের কল্যাণী অঞ্চলের বিনোদনগরে নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন মদ্যপ বিকাশ মাল। বাড়ির পিতলের বালতি বিক্রি করে ফের মদ কেনার জন্য টাকা নিতে চান বিকাশ। অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় সেই কথা কানে তোলেননি স্ত্রী। সেই রাগে স্ত্রীকে প্রবল গালিগালাজ করতে থাকেন বিকাশ।

একসময় মেজাজ হারিয়ে সামনে থাকা লাঠি নিয়ে স্বামীকে বেদম মারতে থাকেন সুরেখা। সেই লাঠির ঘায়েই ঘটনাস্থলে মারা যান বিকাশ মাল। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। ওন্দা থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। আজ রবিবার আদালতে তোলা হয় ধৃত ওই মহিলাকে। বিচারক তাঁকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

গ্রামে ইটভাটায় কাজ করতেন সুরেখা। স্বামীকে খুন করেও খুব একটা অনুতাপ নেই ওই মহিলার। এদিন আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বিয়ের পর থেকেই শুধু সন্তান জন্ম দিয়েছে। কোনও কাজ কোনও দিন করেনি। বিয়ের কয়েক মাস পরেই স্থানীয় ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। ছোট ছেলেকে পড়িয়েছি।” তাঁর আরও দাবি, “গত কয়েক বছর ধরে বাড়ির জিনিসপত্র বিক্রি করে মদ খাচ্ছে। মদের নেশায় সর্বশান্ত করে দিয়েছে আমাদের। শেষ সম্বলটুকুও বিক্রি করে মদ খাওয়ার জেদ করছিল। সহ্য করতে না পেরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছি।”

জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির এক মেয়ে, দুই ছেলে। বড় ছেলে গুজরাটে কর্মরত। বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন আগেই। ছোট ছেলে দশম শ্রেণিতে পড়ছে। ঘটনার সময় সে বাড়িতে ছিল না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *