নাগরিক হওয়ার আগেই ভোটার হয়েছেন সোনিয়া! কংগ্রেস নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

নাগরিক হওয়ার আগেই ভোটার হয়েছেন সোনিয়া! কংগ্রেস নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

রাজ্য/STATE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে দিল্লির আদালতে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৮৩ সালে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার তিন বছর আগে থেকেই দিল্লির ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। ১০ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। বিকাশ ত্রিপাঠী নামের এক ব্যক্তি এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার দাবি তুলেছেন। 

ঠিক কী অভিযোগ? ১৯৮৩ সালে সরকারিভাবে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার আগেই ১৯৮০ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। ত্রিপাঠীর আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৯৮০ সালে সোনিয়া গান্ধীর নাম প্রথমে ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আপত্তির কারণে ১৯৮২ সালে তা বাদ দেওয়া হয়। ১৯৮৩ সালে তিনি নাগরিকত্ব পাওয়ার পরে ফের তাঁর নাম তালিকায় যুক্ত করা হয়। ত্রিপাঠীর দাবি এই ঘটনা ভোটার তালিকায় নাম তোলার পদ্ধতিকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।

নাগরিকত্ব না থাকা সত্ত্বেও সোনিয়া গান্ধীর নাম কীভাবে নয়াদিল্লি লোকসভা নির্বাচনী এলাকার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তা নিয়ে আবেদনকারী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, প্রাথমিক ভাবে গান্ধীর নাম বাদ যাওয়ার কারন হতে পারে তাঁর নাগরিকত্ব না পাওয়া অথবা নির্বাচনী এলাকা বদল হওয়া। ত্রিপাঠীর আইনজীবীর দাবি জাল নথির ভিত্তিতে সোনিয়া গান্ধীর নাম ১৯৮০-র ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, ভোটার তালিকা কারচুপির অভিযোগে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস। দেশজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। সেই প্রেক্ষাপটে কিছুদিন আগেই বিস্ফোরক দাবি করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। অভিযোগকারী বিকাশ ত্রিপাঠির দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে অমিত মালব্যের দাবির। মালব্যর পোস্টে সফদরজং রোডের ১৪৫ নম্বর বুথের তালিকার ছবি দেওয়া হয় এবং একই দাবি করা হয়। অন্যদিকে, গেরুয়া শিবিরকে সরাসরি আক্রমণ করে কংগ্রেসের দাবি, ফোটোশপে ভুয়ো ছবি তৈরি করে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মিথ্যাকে হাতিয়ার করেই গুজব ছড়াচ্ছেন বিজেপি-র আইটি সেলের প্রধান মালব্য।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *