নাগরিক কনভেনশনে ডক্টরস ফ্রন্টের তহবিলের হিসাব নিয়ে মুখ খুললেন অনিকেত, কী বললেন?

নাগরিক কনভেনশনে ডক্টরস ফ্রন্টের তহবিলের হিসাব নিয়ে মুখ খুললেন অনিকেত, কী বললেন?

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


অর্ণব দাস, বারাকপুর: আর জি কর কাণ্ডের সাত মাস পর নাগরিক কনভেনশনে গিয়ে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তহবিলের হিসাব পেশ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে ফেললেন চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। বিচারাধীন একাধিক দুর্নীতির হিসাব পেশের শর্তেই তাঁরা জনগণের থেকে নিয়ে গঠিত তহবিলের হিসাব সামনে আনবেন বলেই জানালেন তিনি। যা নিয়ে বিতর্কের পাশাপাশি একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

রবিবার ‘অবিচারের সাত মাস’ স্লোগান সামনে রেখে নাগরিক কনভেনশনের ডাক দিয়েছিল মেডিক‌্যাল সার্ভিস সেন্টার, সার্ভিস ডক্টর ফোরাম ও নার্স ইউনিটির সদস্যরা। যদিও আর জি করের সামনে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে নির্যাতিতার মা-বাবাকে দেখা যায়নি। তবে কনভেনশনকে সমর্থন জানিয়ে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার অনিকেত মাহাতো, ডা. আসফাকুল্লা নাইয়া-সহ অন্যান্যরা। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনিকেত বলেন, “একটি কথা সদর্থকভাবে জানিয়ে রাখতে চাই, পাই পয়সার হিসাব জুনিয়র ডাক্তাররা আপনাদের সামনে রাখবে। সাধারণ মানুষ যে চাঁদা দিয়েছে, মাথায় করে আমরা সেই টাকা রক্ষা করি। সাধারণ মানুষের কাছে এই পয়সার হিসাব আমরা দেব। চারদিন কি পাঁচদিন নয়তো দশ দিনের মধ্যে হিসাব আমরা আপনাদের কাছে রেখে দেব।” এরপরই তাঁর শর্ত, “পাই পয়সার হিসাব আপনি দিতে পারবেন তো? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা দুর্নীতি, গরু পাচারের পাই পয়সার দুর্নীতির হিসাব আপনি দিতে পারবেন তো? এই প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে থাকবে।”

এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিচারাধীন দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে তাদের তহবিলের তুলনা তিনি কেন করলেন? সাত মাসের তহবিলের হিসাব এদিন প্রকাশ্য মঞ্চে দিয়েই তিনি দাবি রাখলে মানুষের বিশ্বাস বাড়ত বলেও মনে করছেন অনেকে। যদিও শর্তসাপেক্ষে তিনি সর্বাধিক ১০ দিনের মধ্যে হিসাব দেবেন বলে জানিয়েছেন। তবু তাঁর বক্তব্যে উঠে আসা দুর্নীতির সবক’টি যেহেতু কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্তাধীন এবং দীর্ঘদিন ধরেই অমীমাংসিত, তাই তাঁদের হিসাব পেশের বিষয়টিও যেন এমন না হয় বলেই কটাক্ষ করেছে বিরোধী শিবির।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *