সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধবিরতির জেরে গাজাবাসী ক্ষণিকের স্বস্তি পেলেও, প্যালেস্তিনীয়দের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়াবহ কিছু! রবিবার তারই আভাষ দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। প্যালেস্টাইনের জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসকে হুমকি দিয়ে তাঁর বার্তা, “গাজায় নরকের দরজা খুলে দেওয়া হবে।” যুদ্ধবিরতির মাঝেই নেতানিয়াহুর এহেন বার্তায় নতুন করে আশঙ্কার মেঘ গাজার আকাশে।
রবিবার মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন নেতানিয়াহু। সেখানেই তিনি বার্তা দেন, “আমাদের অভিন্ন কৌশল রয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে আমরা তা বিস্তারিতভাবে জানাতে পারি না। যেমন গাজায় কখন খুলে দেওয়া হবে নরকের দরজা। যদি হামাস সব পণবন্দিকে মুক্তি না দেয়, তাহলে অবশ্যই সেই দরজা খুলে দেওয়া হবে।”
মার্কিন বিদেশ সচিবকে পাশে বসিয়ে নেতানিয়াহু আরও বলেন, “গাজায় হামাসের সমস্ত সামরিক ক্ষমতা আমরা শেষ করে দেব। যাঁদের পণবন্দি করে রাখা হয়েছে তাঁদের সকলকে ফিরিয়ে আনব। এবং এটা নিশ্চিত করব যাতে আর কখনও গাজা ইজরালের জন্য বিপদের কারণ হয়ে না ওঠে। গাজা প্রসঙ্গে আমরা আমেরিকার সমর্থন পেয়েছি। এই সমর্থন আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে।
গাজা প্রসঙ্গে আমেরিকার পরিকল্পনা অবশ্য ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যুদ্ধ শেষে গাজার দখল নেবে আমেরিকা। বর্তমানে যারা গাজায় রয়েছেন তাঁদেরকে মিশর, জর্ডান-সহ অন্যান্য মুসলিম দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এমনকি যুদ্ধের ক্ষত সারিয়ে গাজা সংস্কারের পর সেখানে ‘রিয়েল স্টেট’-এর ব্যবসা করারও বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। যা নিয়ে সমালচনার ঝড় ওঠে বিশ্বজুড়ে। সেই নিয়ে জল্পনার মাঝেই গাজায় আমেরিকা ও ইজরায়েলের ‘অভিন্ন কৌশল’ ও ‘নরকের দরজা’ খোলার বার্তা নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চলছে গাজায় সেই চুক্তি মতো গত শনিবার পর্যন্ত ১৯ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে এই হামাসের হাতে পণবন্দি হয়েছিলেন ২৫০ জন। তাদের মধ্যে প্রথম দফায় সংঘর্ষ বিরতিতে ৩৩ জনকে মুক্তি দেওয়ার কথা হামাসের। অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী ইজরায়েলের তরফে কয়েশ প্যালেস্তিনীয়কে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।