সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে বাদল অধিবেশনে পেশ হতে চলেছে জাতীয় ক্রীড়া বিল। ইতিমধ্যেই জানা যাচ্ছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও এই বিলের অধীনে আনা হবে। বিসিসিআই আর্থিক সহায়তার জন্য সরকারের উপর নির্ভরশীল নয়। তাছাড়া স্বশাসিত সংস্থা হিসেবে পরিচালিত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেক্ষেত্রে নতুন ক্রীড়া বিলের অধীনে এলে কী পরিবর্তন আসতে পারে বোর্ডে?
নতুন ক্রীড়া বিলের অধীনে আসা মানে বিসিসিআই জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের অধীনেও আসবে। সেক্ষেত্রে ক্রীড়ামন্ত্রকের সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে বোর্ডকে। নতুন বিলের মূল বিষয়গুলির মধ্যে আছে স্বচ্ছতা, অ্যাথলেটিকদের মুখ্য করে নিয়ম আনা ও ভারতীয় ক্রীড়াজগতের সঙ্গে বিশ্বের যোগাযোগ তৈরি করা। সেক্ষেত্রে ভারতের খেলাধুলোর সবকটি কমিটিতেই প্লেয়ারদের রাখতে হবে। নিয়ম তৈরিতেও তাদের ভূমিকা থাকবে। অন্তত দুজন ক্রীড়াব্যক্তিত্বকে কার্যকরী সমিতিতে রাখতে হবে।
আরও একটি বিষয়, স্পোর্টস বিল পাশ হয়ে গেলে বোর্ড পদে থাকার বয়সসীমা সত্তর থেকে পঁচাত্তর হয়ে যেতে পারে বলে খবর। সেটা হলে, রজার বিনি আবারও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়ে যেতে পারেন! লোধা কমিটির নিয়ম অনুসারে যেখানে ৭০ বছর হয়ে গেলেই অবসর নিতে হয়।
২০২৮-এর অলিম্পিকে আছে ক্রিকেট। তাছাড়া ভারত ২০৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজন করতে চায়। সেক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন বা আইওএ-র অধীনে বিসিসিআইকে আসতেই হবে। নাহলে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা ক্রিকেট বা ক্রিকেটারদের ভারতের অলিম্পিকের সদস্য বলে মেনে নেবে না।
এর সঙ্গে আইওএ-র হাতেও আর ক্রীড়া সংস্থা নিয়ন্ত্রণ হাতে থাকবে না, তা চলে যাবে স্পোর্টস বোর্ডের কাছে। আরও একটি বিষয় হল, খেলাধুলোর জগতে বিভিন্ন সংঘাত লেগেই থাকে। ক্রীড়া বিল অনুযায়ী যে জাতীয় স্পোর্টস ট্রাইবুনাল তৈরি হবে, তারাই এই বিষয়গুলি দেখবে। তাতেও সুরাহা না হলে তবে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে। যাতে ক্রীড়াবিদদের কেরিয়ারের যে কোনও সমস্যার সমাধান খুব দ্রুত হয়।
বিসিসিআই-সহ সবকটি ফেডারেশনকেই কার্যকারিতা তত্ত্বাবধান করবে জাতীয় ক্রীড়া বোর্ড। এমনকী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে কোনও ফেডারেশনকে নির্বাসিত করার ক্ষমতাও থাকবে।