নিরুফা খাতুন: কর্মীদের ক্ষোভের ক্ষত নিয়েই আলিপুর চিড়িয়াখানার দেড়শো বছরের সমাপ্তি অনুষ্ঠান হয়ে গেল। অনুষ্ঠানে খাওয়াদাওয়া বয়কট করলেন চিড়িয়াখানার নিচুতলার কর্মীরা। জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠান শেষে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কাছে নয়া অধিকর্তা তৃপ্তি শাহকে নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তাঁরা। আর তাঁদের এই ক্ষোভের আঁচ পশুপাখিদের যত্নআত্তির উপর পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের একাংশ। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত বনমন্ত্রীও।
দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার আলিপুর চিড়িয়াখানার ডাকটিকিট চালু করা হয়েছে। উদ্বোধন করা হয় ডিজিটাল লাইব্রেরিও। ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দেড়শো বছরে পা দিয়েছিল আলিপুর চিড়িয়াখানা। সেবার সাড়ম্বরে চিড়িয়াখানার সব কর্মী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। গত আগস্ট মাসে চিড়িয়াখানার অধিকর্তার পদে আসেন তৃপ্তি শাহ। এবার কর্মীদের ক্ষোভের কারণ নয়া অধিকর্তা।
কর্মীদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিড়িয়াখানায় তাঁরা ৩৬৫ দিন পরিষেবা দেন। আবাসিকদের দেখভাল, দর্শকদের ভিড় সামলানো – সব কাজ এই কর্মীরাই করে থাকেন। দেড়শো বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে গত বছর এখানের কর্মী ও ইউনিয়নকে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তৎকালীন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এবছর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে নয়া অধিকর্তা তা করেননি। তাতেই ক্ষুব্ধ নিচুতলার কর্মীরা।
আরও অভিযোগ, নয়া অধিকর্তা কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। যখনতখন কর্মীদের কাজ থেকে বসিয়ে দিচ্ছেন। সেই কারণে বুধবার পরিষেবা দিলেও অনুষ্ঠানের খাওয়াদাওয়া বয়কট করেছেন তাঁরা। এদিন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বনমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে নয়া অধিকর্তা তৃপ্তি শাহর বিরুদ্ধে সেই ক্ষোভ উগড়ে দেন কর্মীরা। বনমন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন। তাতে কিছুটা আশ্বস্ত কর্মীরা। তবে তাঁদের কাজে এর কোনও প্রভাব পড়ুক, তা চাইছে না কেউই।