সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের গতিবিধি নজরে রাখতে এবার কোমর বেঁধে মাঠে নামল ভারত। পূর্ব লাদাখের মুধি-নোওমা অঞ্চলে নির্মিত হচ্ছে ভারতের সর্বোচ্চ বায়ুসেনা ঘাঁটি। জানা যাচ্ছে, আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই বিমান চলাচলের জন্য পুরোদমে প্রস্তুত হয়ে যাবে এই ঘাঁটি। যা দেশের নিরাপত্তা তো বটেই আপতকালীন পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে এই বায়ুসেনা ঘাঁটি।
সেনার সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কোনও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এই বায়ুসেনা ঘাঁটিটি। ২০২১ সালে এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল ভারত সরকার। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয় ২১৪ কোটি টাকা। এরপরই জোরকদমে শুরু হয়ে যায় কাজ। ইতিমধ্যেই ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রানওয়ে ইতিমধ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে। লাদাখের এই নোওমা অঞ্চল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে হওয়ায় কারণে কৌশলগতভাবে এই বিমান ঘাঁটি সেনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি ভারতের উত্তর সীমান্ত, বিশেষ করে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চল, যেখানে স্থল পরিবহণ কঠিন, সেখানে পৌঁছে যাওয়া যাবে অতি দ্রুত।
উল্লেখ্য, গালওয়ান সংঘাত পেরিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও, চিনকে বিশ্বাস নেই। অরুণাচল থেকে শুরু করে লাদাখ পর্যন্ত চিনা আগ্রাসন বরাবর চিন্তার বিষয় ভারতের জন্য। লাদাখের একাধিক অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে চিন। ফলে আপাতভাবে সংঘাত মিটলেও পরিস্থিতি যদি কোনও সময় খারাপ আকার নেয় সে কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুত ভারত। গত চার বছরে ভারত লাদাখ ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু করেছে কেন্দ্র। উন্নতমানের রাস্তা, টানেল এবং সেতু নির্মাণ শুরু হয়েছে। ডেমচোক এবং ডেপসাং সমভূমিতে ভারত ও চিনের মধ্যে সাম্প্রতিক সামরিক বিচ্ছিন্নতার পর নোওমার গুরুত্ব বেড়েছে। সমস্ত দিক মাথায় রেখে এখানে ভারতের বায়ুসেনা ঘাঁটি নির্মাণ প্রতিরক্ষা তো বতেই বেসামরিক দিক থেকেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।