ধুয়ে মুছে সাফ সিপিএম, ৬৩ বছর পর কোন্নগরের নবগ্রাম সমবায় নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল

ধুয়ে মুছে সাফ সিপিএম, ৬৩ বছর পর কোন্নগরের নবগ্রাম সমবায় নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সুমন করাতি, হুগলি: কোন্নগরের নবগ্রাম সমবায় ব্যাঙ্কে ৬৩ বছর পর নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনে ধুয়ে মুছে সাফ সিপিএম। ৫৬ আসনেই জয়ী তৃণমূল। জয়লাভের পর তৃণমূল কর্মীরা আবির খেলায় মেতে ওঠেন। যেন গোটা এলাকায় উৎসবের আবহ।

হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি স্বপন দাস বলেন, “দীর্ঘদিন সিপিআইএম এই ব্যাঙ্কে নির্বাচন করত না। এই প্রথম নবগ্রামের মানুষ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলেন। নবগ্রামের মানুষও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের অঙ্গীকারে বিশ্বাস রেখে নবগ্রাম ব্যাঙ্ক নির্বাচনে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের জয়ী করেছেন। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই জয় আবারও প্রমাণ করে দিচ্ছে মানুষ উন্নয়নের পক্ষে।” উত্তরপাড়া শ্রীরামপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিখিল চক্রবর্তী বলেন, “এই ব্যাঙ্কে সিপিএম নিজেদের জোরে আগে ভোট করতে দিত না। তাই এতদিন এখানে ভোট হয়নি। আমরা সবসময় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই এবার শান্তিপূর্ণ ভোট হল। মানুষ সকাল থেকে শান্তিতে ভোট দিয়েছেন। আর মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তাই আজ এই জয়। এই জয় মানুষের জয়।” নবগ্রাম অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব মজুমদারের গলায়ও একই সুর।

সমবায় নির্বাচনে ভোট লুটের অভিযোগের অভিযোগে সরব সিপিএম। সিপিএমের অভিযোগ, ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বুথ ঘিরে ফেলেন তৃণমূল কর্মীরা। বুথের দরজা আটকে শুরু হয় হম্বিতম্বি। ভোটারদের বাইরে আটকে ভিতরে অবাধে ছাপ্পা দিতে শুরু করে তারা। তার প্রতিবাদে নবগ্রামের নৈটি রোড অবরোধও করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। হুগলি জেলা কমিটির সম্পাদক অর্ণব দাস বলেন, “সকাল থেকেই ৩টি স্কুলের সব বুথ দখল করে তৃণমূল। আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মীকেও মারধর করা হয়। ভোটের নামে প্রহসন চলছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ বামপন্থীদের পক্ষে রায় দিয়েছে। এটাই তৃণমূল মানতে পারছে না। সেই কারণেই ভোট লুট করছে।” অবশ্য সিপিএমের এই দাবি অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, “এতদিন তো সিপিএম নিজেরাই গায়ের জোরে ভোট করতে দেয়নি। সিপিএম আগে বলুক এত বছর তাহলে ভোট হয়নি কেন? আসলে এত বছর বাদে এখানে ভোট হল আর সিপিএম হারবে জেনেই এসব বানিয়ে অভিযোগ করছে। মানুষ তৃণমূলের পক্ষে ছিল আছে আর থাকবে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *