সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষিতা নাবালিকার গর্ভপাত নয়, বরং সন্তানের জন্ম দেওয়ার অনুমতি দিল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের। সন্তানের ভরণপোষণে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেকথা মাথায় রেখে জন্মের পর দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সেই সন্তানের পড়াশুনো ও অন্যান্য খরচ সরকারকে বহন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, সন্তান জন্মের সময় চিকিৎসার যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেটাও সরকারকে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের মন্ডলা জেলার এক গ্রামে ধর্ষণের শিকার হন এক নাবালিকা। এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে পরিবার। সেই মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনায় আদালত। পরে জানা যায় ঘটনার জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে নাবালিকা। এই অবস্থায় গর্ভপাত নয় বরং ওই সন্তানের লালন পালনের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। সেইমতো আদালতের কাছে অনুমতি চেয়ে দায়ের হয় মামলা। মানবিক দিক থেকে বিচার করে সেই আবেদন মঞ্জুর করেন হাই কোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিনয় সারাফ।
এই বিষয়ে আদালতে নাবালিকার মেডিক্যাল রিপোর্টও পেশ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, গর্ভস্থ ভ্রুণের বয়স ২৯ সপ্তাহ ৬ দিন। মামলার শুনানির সময় তা বেড়ে হয় ৩১ সপ্তাহ। এই অবস্থায় চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয় এই সন্তানের গর্ভপাত রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ। নাবালিকার জীবনহানীও হতে পারে। নাবালিকা ও তার পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী ওই সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানোর অনুমতি দেওয়া হয় আদালতের তরফে। আরও জানানো হয়, ওই নাবালিকার চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ সরকারকে বহন করতে হবে। শুধু তাই নয়, আদালতের তরফে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর ওই শিশুর যাবতীয় খরচ সরকারকে বহন করতে হবে। এমনকী দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তার শিক্ষা ও প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা দেবে সরকার। এছাড়া শিশু ও নাবালিকা মা উভয়ের পরিচয় কঠোরভাবে গোপন রাখতে হবে।