সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুণেতে ফ্ল্যাটে ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় নয়া মোড়! বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করার পর একাধিক তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। আর এতেই হতবাক পুলিশ আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে যে যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনি নাকি ওই তরুণীর পূর্ব পরিচিত। এমনকী মুখে তরল জাতীয় কিছু স্প্রে করা, ধর্ষণের পর সেলফি তুলে ‘আবার আসব’ লিখে যাওয়া, তরুণীর অজ্ঞান হয়ে যাওয়া সবই নাকি মিথ্যে!
তদন্তকারী আধিকারিকরা এও জানতে পেরেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের ওই তরুণী এবং ওই যুবক প্রায় দু’বছর ধরে একে অপরকে চেনেন। এতেই প্রশ্ন উঠছে, যে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে পুণে তথা দেশ উত্তাল হচ্ছে, সেই ধর্ষণ আদৌ ঘটেছিল তো? নাকি সবই মিথ্যে! এর পিছনে অন্য কোনও যড়যন্ত্র রয়েছে? যদিও পুলিশের তরফে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, এখনই ধর্ষণের তদন্ত বন্ধ করা হচ্ছে না। বুধবার সন্ধ্যেয় ঠিক কী হয়েছিল সেই বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। অভিযোগকারী তরুণী এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসকরা অনুমতি না দিলে তাঁর সঙ্গেও কথা বলা যাচ্ছে না।
বুধবার মাঝরাতে স্থানীয় থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হতেই রাতারাতি ১০টি দল গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তরুণীর ফোন থেকে একটি ছবি দেখে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই যুবক গ্রেপ্তার হতেই তদন্তের মোড় ঘুরে যায়। পুলিশ জানতে পারে, ওই যুবক কোনও কুরিয়ার ডেলিভারি সমস্থার কর্মী নন। বদলে তিনি উচ্চশিক্ষিত এবং একটি নামী সংস্থায় কর্মরত।
অন্যদিকে, তরুণীর ফোন পরীক্ষা করার পর বিশেষজ্ঞরা জানান, ফোনে যে সেলফি রয়েছে, সেটি ওই তরুণী নিজেই তোলেন। এমনকী ‘আবার আসব’ মেসজটিও তিনি নিজেই লেখেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে যে সময়ে কুরিয়ার ডেলিভারি বয় এসেছিল বলে ওই তরুণী জানিয়েছিলেন, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই সময় সে ধরনেরর কোনও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। ফলে এই মুহূর্তে এই ঘটনা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদি ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে হয় তাহলে ওই তরুণী কেন এমন অভিযোগ করলেন তা নিয়েও ধোঁয়াশা থাকছে।