সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে, এরপর ধর্ম বদলের চাপ দিয়ে গোমাংস খাওয়ানোর চেষ্টা! ‘লাভ জেহাদ’ তো বটেই ৫ বছরের সংসারে শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের স্বারস্থ হলেন হিন্দু যুবতী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বিহারের বেগুসরাইয়ে।
আরতি কুমারী নামে ওই যুবতীর বাড়ি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। তাঁর দাবি, মহম্মদ শাহবাজ নামে এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল তাঁর। সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দুজনের। এরপর একদিন ইন্দোর থেকে বেগুসরাই গিয়ে শাহবাজকে বিয়ে করেন। শুরুতে সব ঠিক থাকলেও কিছুদিন পর শাহবাজের আসল রূপ প্রকাশ্যে আসতে থাকে। প্রথমে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। জোর করে গো মাংস খাওয়ানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত। আরতির ফোনে থাকা দেবদেবীর ছবি ডিলিট করতে বলা হয়। রাজি না হলে শুরু হয় নির্যাতন। আরতির আরও অভিযোগ, ফেসবুকে নিজেকে সোনা-রূপোর ব্যবসায়ী বলে দাবি করলেও বাস্তবে শাহবাজ সোনার দোকানের কর্মী। যদিও পুলিশের কাছে আরতি শাহবাজের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করেননি। শুধু তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
এদিকে বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহবাজকে বিয়ে করায় পরিবারের লোকজন আরতিকে ত্যাগ করেছেন। পুলিশকে আরতি জানিয়েছেন, ‘আমার পরিবারের কাছে আমি মৃত।’ এই অবস্থায় সংবাদমাধ্যমকে সদর ডিএসপি সুবোধ কুমার বলেন, ‘আরতি তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জানাননি। শুধু লিখিত আবেদন জানিয়েছেন তাঁকে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। বর্তমানে তাঁকে মহিলাদের সরকারি হোমে রাখা হয়েছে। বাড়ি ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে আরতির সমস্ত অভিযোগ খণ্ডন করেছেন শাহবাজ। তাঁর পালটা অভিযোগ, আরতির আগে বিয়ে হয়েছে। এমনকী তিনটি সন্তান রয়েছে তাঁর। ওঁর একটি অস্ত্রপচারও হয়েছে, যার ফলে ওঁ আর সন্তান ধারন করতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে থাকাকালীন অন্য একজনের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল আরতির। গত ৫ বছরে ৩ বার বাড়ি থেকে পালিয়েছিল। এমনকী গোমাংস খাওয়ানোর দাবিও অস্বীকার করেন শাহবাজ। আরতির থেকে তিনিও মুক্তি চান বলে প্রশাসনকে জানিয়েছেন শাহবাজ।