‘ধর্মীয় সহাবস্থানের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ব’, বার্তা ইউনুসের প্রাক্তন উপদেষ্টা নাহিদের

‘ধর্মীয় সহাবস্থানের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ব’, বার্তা ইউনুসের প্রাক্তন উপদেষ্টা নাহিদের

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাসে রাজনীতির ময়দানে পথচলা শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ ঘটে এই নতুন রাজনৈতিক দলের। সেদিন দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে গীতা, বাইবেল, কোরান, ত্রিপিটক পাঠ করেন ছাত্ররা। এই মুহূর্তে মহম্মদ ইউনুসে বদলের বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরা। ভাঙচুর করা হয়েছে শতাধিক মন্দির। এছাড়া কয়েকদিন আগেই সংবিধান সংস্কার কমিশন ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি বাংলাদেশের সংবিধান থেকে বাদ দিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। এবার এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বললেন, ধর্মনিরপেক্ষতা বা ধর্মতন্ত্র- কোনও মতবাদকেই তারা দলীয় আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করেন না। নাহিদ এর আগে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ছিলেন।

এনসিপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আজ সোমবার দলের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন নাহিদ। দলের দৃষ্টিভঙ্গি সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় সহাবস্থান, সম্প্রীতি ও দায়-দরদ চর্চার মাধ্যমে এনসিপি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র গড়তে চায়।’ ‘কয়েকটি বিষয়ে এনসিপির দৃষ্টিভঙ্গি’ শিরোনামে সাতটি পয়েন্টে রাষ্ট্র সংস্কার, নারীর অধিকার, ধর্মীয় মূল্যবোধ, জাতীয় নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক রাজনীতিসহ নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, ইনসাফ ও মানবিক মর্যাদার আদর্শ এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই এনসিপির পথচলা। এছাড়া আমরা বাংলার হিন্দু-মুসলমান-দলিতের উপনিবেশবিরোধী ও ব্রাহ্মণ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের ধারাবাহিকতাকে রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করি।’

ধর্ম প্রসঙ্গে নাহিদ আরও লেখেন, ‘এনসিপি নাগরিকের ধর্মবিশ্বাস ও আত্মিক অনুভবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ধর্ম ইসলাম— তার নৈতিকতা ও মানবিকতা এবং বাঙালি মুসলমানের ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবনচর্চাকে এনসিপি মূল্যায়ন করে। সংখ্যালঘু ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এনসিপি। আমরা মনে করি, রাষ্ট্রের উচিত প্রতিটি জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অখণ্ডতা রক্ষা করা। এনসিপি ইসলামবিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা করে এবং ধর্মীয় উগ্রতা বা চরমপন্থা সমর্থন করে না। এনসিপি সেকুলারিস্ট বা ধর্মতান্ত্রিক কোনও মতবাদকেই আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে না। বরং ধর্মীয় সহাবস্থান, সম্প্রীতি ও দায়-দরদ অনুশীলনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়াই এনসিপির লক্ষ্য।’

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, দেশের ৯০ শতাংশ নাগরিক মুসলিম। তাই বাংলাদেশের সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটির কোনও প্রয়োজন নেই। সেই বিষয়কে মান্যতা দিয়েই নতুন খসড়া তৈরি করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটিকে বাদ হয়েছে নয়া সুপারিশে। সেই নতুন খসড়াই তুলে দেওয়া হয় প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের হাতে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *