‘ধর্মরক্ষায় বাড়িতে ধারালো অস্ত্র রাখুন’, নিদান দিয়ে বিতর্কে সুকান্ত! পালটা কটাক্ষ তৃণমূলের

‘ধর্মরক্ষায় বাড়িতে ধারালো অস্ত্র রাখুন’, নিদান দিয়ে বিতর্কে সুকান্ত! পালটা কটাক্ষ তৃণমূলের

রাজ্য/STATE
Spread the love


সুমন করাতি, হুগলি: এবার হিন্দুদের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র রাখার নিদান দিলেন সুকান্ত মজুমদার। রবিবার হুগলিতে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। হুগলির কুন্তিঘাটে রামমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এদিন যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর এই বক্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।

এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ছেলেদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যা বানানোর বানান। কিন্তু আগে ভালো হিন্দু বানান। যে নিজে ধর্মের প্রতি সমর্পিত হবে। আর বাড়িতে একটা করে ধারালো অস্ত্র রাখুন।” হিন্দুরা বাড়িতে অস্ত্র রাখলে আপত্তি কোথায়? সেই প্রশ্নও এদিন করেছেন সুকান্ত। তিনি আরও বলেন, “নিজের ধর্ম-সংস্কৃতি রক্ষা করতে না পারলে ডাক্তার, ব্যারিস্টার যাই হোক, বাস্তবে অন্য কোথাও যেতে হবে তাঁকে। ধর্ম রক্ষায় একজোট হতে হবে। এলাকায় মন্দির তৈরি করুন।”

এক্ষেত্রে তৃণমূলের দিকেও নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা। সুকান্ত আরও বলেন, “আমরা মানুষকে এটাই বলব রাবণ জীবনে একবারই গেরুয়া পড়েছিল সীতাকে হরণ করার জন্য। যারা ছদ্ম হিন্দু, তাঁদের চিনে নিন। তাহলে হিন্দু সমাজ বাঁচবে।” গোয়ালপোখরে পুলিশ এনকাউন্টার করে এক কুখ্যাতকে মেরেছে। সেই ঘটনায় পুলিশকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। সুকান্তের কথায়, “আমি এটাকে স্বাগত জানাব।আমি দেখে খুশি হয়েছি যে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গুলি চালাতে জানে। আমি ভাবতাম যে থ্রিনটথ্রি বন্দুকগুলো চলে না। কমসে কম গুলি চালাতে পেরেছেন। ডিজি সাহেব রাজীব কুমারের তো উত্তরপ্রদেশের বাড়ি। তিনি বোধহয় উত্তরপ্রদেশের যোগীজির থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।”

বাংলাদেশ ইস্যুতে বাংলার সীমান্তের উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। নদিয়া, বনগাঁ সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। কোচবিহার, মালদহে বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে বিবাদও সামনে এসেছে। বর্ডার পাহারায় বিএসএফের প্রশংসা করেছেন তিনি। রাজ্য সরকারের জন্য সীমান্তের সব জায়গায় ফেন্সিং দেওয়া সম্ভব হয়নি। পুলিশের কোনও সাহায্য পাওয়া যায় না। সেই কথাও অভিযোগ করেছেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে হুগলির তৃণমূল জেলা সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন, “সুকান্ত মজুমদার বাংলার সংস্কৃতিই জানেন না। বিজেপি বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। সেজন্য বই পড়া ছেড়ে অস্ত্র ধরার নিদান দিয়েছেন। এখানেই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির পার্থক্য। তৃণমূল শান্তির পক্ষে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *