দ্রুত সংস্কার ও ভোটের দাবি খালেদা জিয়ার, স্থানীয় নির্বাচনের ‘ফাঁদে’ পা দিতে নারাজ পুত্র তারেক

দ্রুত সংস্কার ও ভোটের দাবি খালেদা জিয়ার, স্থানীয় নির্বাচনের ‘ফাঁদে’ পা দিতে নারাজ পুত্র তারেক

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: রাষ্ট্র মেরামতের ন্যূনতম সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে হবে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করার আহ্বান জানালেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে দলটির বর্ধিত সভায় লন্ডন থেকে ভারচুয়ালি বক্তব্য পেশ করেন তিনি। দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি সভানেত্রী বলেন, ”অসুস্থতার কারণে যুক্তরাজ্যে থাকলেও সবসময় আমি আপনাদের পাশে আছি। দীর্ঘ ১৫ বছর গণতন্ত্রের জন্য, আমার মুক্তির জন্য নিরন্তন সংগ্রাম করেছেন এবং অসংখ্য নেতা-কর্মী প্রাণ দিয়েছেন, জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, প্রায় সওয়া লাখ মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে এখনও ন্যায়বিচারের জন্য আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন। আপনাদের এই ত্যাগ শুধু দল নয় জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে।”

নির্বাচন নিয়ে একটি ধূম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তিনি বলেন, ‘‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের একটি প্রক্রিয়া জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন। তবে এই ফাঁদে বিএনপি পা দিতে পারে না, পা দেবে না।’’ এই মুহূর্তে তারেক রহমানও লন্ডনে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে দলটির বর্ধিত সভায় ভারচুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন। এ সময় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকতে দেশবাসীকে আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তারেক রহমান বলেছেন, ”আগে স্থানীয় নির্বাচন হলে সেটি হবে পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের একটি প্রক্রিয়া, যা সরাসরি গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী।”

তারেক রহমানের আরও বক্তব্য, সরকার যেখানে দেশের বাজার পরিস্থিতি কিংবা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারছে না, সেখানে জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘স্থানীয় নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের নামে কেন দেশের পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করতে চাইছে, এটি জনগণের কাছে বোধগম্য নয়। বিভিন্ন সময়ে ‘জাতীয় নির্বাচন’ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য জনমনে ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করলেও ‘জাতীয় নির্বাচন’ নিয়ে কোনও কোনও উপদেষ্টার বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী জনগণের জন্য হতাশার কারণ হয়ে উঠছে।

তিনি আরও বলেন, ”মাফিয়া প্রধান হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর এ পর্যন্ত ১৬/১৭টি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বিএনপি সব নতুন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে স্বাগত জানায়। তবে নির্বাচনের মাধ্যমে গ্রহণ কিংবা বর্জনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে জনগণ। সুতরাং, প্রতিটি দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু ‘জাতীয় নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সবার আগে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *