প্রসূন বিশ্বাস: ২০১৪-র কান্তিরাভা। ২০২৩-র ফাতোরদা। আই লিগ থেকে আইএসএল কাপ। দুবারই চ্যাম্পিয়নের জয়তিলক পরেছিল মোহনবাগান। ফের আইএসএল ফাইনাল। আবারও সামনে বেঙ্গালুরু এফসি। এবার ঘরের মাঠে। ষাট হাজারের যুবভারতীতে দ্বিমুকুট জয়ের জন্য নামবে লিগ শিল্ড জয়ী মোহনবাগান। ফাইনালের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে লক্ষ্য বেঁধে দিলেন মোহনবাগান কোচ মোলিনা। আর সল্টলেক স্টেডিয়ামে মায়াবী সবুজ-মেরুন রাত ফেরাতে মরিয়া অধিনায়ক শুভাশিস বোস।
সেমিফাইনালের রুদ্ধশ্বাস জয়ে মোহনবাগান প্রমাণ করে দিয়েছে কেন তারা ভারতসেরা। ম্যাচের আগে দিমি-জেমিরা বলেছিলেন, সমর্থকদের জন্যই তাঁদের লড়াই। আর ফাইনাল নিয়ে শুভাশিসের সাফ বক্তব্য, ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে খেলতে পারাই তাঁদের কাছে কাপজয়ের বাড়তি প্রেরণা। গত বছর ফাইনালে উঠেও কাপ জেতা হয়নি। সেই অধরা মাধুরী এবার ছুঁতে চান অধিনায়ক শুভাশিস। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়ে গেলেন, “এটা আমাদের টানা তৃতীয় ফাইনাল। আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে আমরা ফাইনাল খেলবই। কাল যারা কম ভুল করবে, তারাই চ্যাম্পিয়ন। আমরা তার জন্য নিজেদের সেরাটা দেব। আমরা সম্পূর্ণ তৈরি।”
লিগ শিল্ড জয়ের পর এবার দ্বিমুকুটের প্রত্যাশা। তার উপর ঘরের মাঠে খেলা। কিছুটা চাপও কী আছে? মোহনবাগান কোচ মোলিনা অবশ্য সেটাকে চাপ হিসেবে দেখার বদলে প্রেরণা হিসেবে দেখছেন। তিনি বলছেন, ‘সমর্থকদের জন্যই খেলি। আমি শুধু তাঁদের খুশি করতে চাই। স্কোরলাইন কী থাকল, পারফরম্যান্স কেমন হল, তাঁর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জেতা। সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটলে আর কিছু চাই না।” তবে বেঙ্গালুরুকে নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক মোলিনা। জানিয়ে দিলেন, ফাইনাল সব সময়ই কঠিন। সেটা বিপক্ষে যে দলই থাকুক না কেন?
অন্যদিকে বেঙ্গালুরু কোচ জেরার্ড জারাগোজা সমীহ করছেন মোহনবাগানের আক্রমণভাগকে। শুধু কামিন্স বা ম্যাকলারেন নয়, গোটা দলকে নিয়েই চিন্তিত তিনি। এবারের লিগে এই মাঠেই ৪-০ গোলে সুনীল ছেত্রীদের বিধ্বস্ত করেছিল মোহনবাগান। জারাগোজা অবশ্য হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন, “ফাইনাল অন্য ম্যাচ।” সেই সঙ্গে বললেন, ফাইনালটা সুনীল ছেত্রীর ম্যাজিক দেখা যেতেই পারে। আর গুরপ্রীত সিং? যিনি কি না মুখোমুখি হবেন ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ বিশাল কাইথের। কিছুদিন আগে গুরপ্রীতের একটি পোস্ট নিয়ে খুব সমালোচনা হয়। গুরপ্রীত যদিও বলছেন, সোশাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্স? সেখানে কি বিশালকে আদৌ টেক্কা দিতে পারবেন তিনি?