দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটারদের ব্যর্থতা থেকে বল বিতর্ক, লর্ডসে গিলদের হারের ৫ কারণ

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটারদের ব্যর্থতা থেকে বল বিতর্ক, লর্ডসে গিলদের হারের ৫ কারণ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচের রাশ হাতে নিয়েও হারল টিম ইন্ডিয়া। লর্ডসে ২২ রানে হেরে সিরিজেও পিছিয়ে পড়ল শুভমান গিলের দল। অথচ ম্যাচের বেশিরভাগ সময় ভারতই নিয়ন্ত্রণ করেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে মাত্র ১৯২ রানে আটকে ফেলেছিল। একা লড়ে গেলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তারপরও কেন হারল ভারত?

চাপ সামলানোর ব্যর্থতা: পিচে সামান্য অসমান বাউন্স আছে, বল অল্পবিস্তর মুভ করছে। কিন্তু ভয় ধরানোর কিছু নেই। সেখানে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ২২ রানে হারল ভারত। লর্ডসে শেষ ইনিংসের চাপ ভালোমতোই টের পেল ভারত। শুভমান গিল থেকে ঋষভ পন্থ, সকলেই ব্যর্থ। সবচেয়ে দুরবস্থা করুণ নায়ারের। ‘প্রিয়’ ক্রিকেটের থেকে আর বোধহয় তিনি সুযোগ পাবেন না। 

চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়: লর্ডসে তৃতীয় টেস্টের শেষ ইনিংসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিততে ভারতের দরকার ছিল ১৯৩ রান। এই দলটা প্রথম টেস্টে ৮০০-র উপর রান ও দ্বিতীয় টেস্টে ৭০০-র কাছাকাছি রান করেছে। লর্ডসে প্রথম ইনিংসে করেছে ৩৮৭। সেখানে শেষ ইনিংসে এভাবে ভারতীয় দল ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়বে, তা কেউই আন্দাজ করতে পারেনি।

ইংল্যান্ডের টেল এন্ডারদের জুটি ভাঙতে সমস্যা: ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে বুমরাহ পাঁচ উইকেট তুলেছিলেন। দুই উইকেট তোলেন মহম্মদ সিরাজও। কিন্তু তারপরও দারুণ জুটি গড়ে যান জেমি স্মিথ (৫১) ও ব্রাইডন কার্স (৫৬)। দুজনের জুটিতে ওঠে ৮৬ রান। সেটাই কিন্তু পার্থক্য গড়ে দিল। অন্যদিকে ভারতের ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল দুই ইনিংসে ব্যর্থ। আবার, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ঋষভ পন্থের রান আউটের ধাক্কাও সামলাতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া।

আত্মতুষ্টি ও অতি আগ্রাসন: অধিনায়ক শুভমান গিলও এই টেস্টে চর্চায় ছিলেন। সেটা অবশ্য ব্যাটিংয়ের জন্য নয়, অতি আগ্রাসী আচরণের জন্য। তাতে কি মনঃসংযোগ নষ্ট হয়েছে দলের। সিরাজ, নীতীশ রেড্ডিরাও সমস্যায় জড়িয়েছেন। ব্যাটিংয়ে কিন্তু সেটা চোখে পড়ল না। এজবাস্টনে ঐতিহাসিক জয়ের পর কি আত্মতুষ্টিতে ভুগছিলেন ক্রিকেটাররা? সেটাও ভেবে দেখতে হবে কোচ গৌতম গম্ভীরকে।

বল বিতর্ক: ম্যাচে দশ ওভারের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে, বলের আকার পরিবর্তিত হয়ে পুরনো হচ্ছে। ফলে নতুন বলে বুমরাহরা যতটা ভয়ঙ্কর, বল একটু পুরনো হলেই সেটা আর চোখে পড়েনি। সাংবাদিক সম্মেলনে হোক বা ম্যাচের মাঝে, এই নিয়েই শুভমানদের বেশি চর্চা করতে দেখা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *