সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিউনিখ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে ১৯৭২ সালে অপারেশন ‘র্যাথ অফ গড’ শুরু করে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। খুঁজে খুঁজে হামলাকারীদের শেষ করে ইজরায়েল। এবার হামাসকে মুছে ফেলতে সেই ধরনেরই কি কোনও কৌশল নিল নেতানিয়াহুর দেশ? তেমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহাতে পরপর গোলাবর্ষণ করেছে ইজরায়েল। হামাস নেতাদের শেষ করতে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। কিন্তু দোহার ঠিক কোন কোন জায়গায় বিস্ফোরণগুলি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ইজরায়েলের সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘হামাসের উচ্চপদস্থ নেতাদের খতম করতে আইডিএফ এবং ইজরায়েল সিকিউরিটি এজেন্সি (আইএসএ) দোহায় অভিযান চালিয়েছে। বছরের পর বছর ধরে, হামাসের এই সদস্যরা সন্ত্রাসী সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে নৃশংস গণহত্যার জন্য তারা সরাসরি দায়ী। পাশাপাশি, ইজরায়েলর বিরুদ্ধে তারা যুদ্ধ জারি রেখেছে।’ জানা যাচ্ছে, রবিবার দোহার একাধিক স্থানে গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা গিয়েছে। এর জেরে আকাশে কালো ধোঁয়াও দেখা গিয়েছে বলে খবর। তবে এই ঘটনায় কারও কারও মৃত্যু হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইজরায়েলের এই হামলার কড়া নিন্দা করেছে কাতার। কাতারের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, “ইজরায়েলের এই হামলা কাপুরুষতার পরিচয়। তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।” প্রসঙ্গত, হামাসের নির্বাসিত নেতাদের ‘ঘর’ হল কাতার। গাজায় হামলার অনেক আগে থেকেই বছরের পর বছর ধরে প্যালেস্টাইন এবং ইজরায়েলের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসাবেও কাজ করে এসেছে দেশটি।
১৯৭২ সালে জার্মানির মিউনিখ অলিম্পিকে ইজরায়েলি ক্রীড়াবিদদের হত্যা করে ‘ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর’ নামে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন। এরই প্রতিশোধ নিতে অপারেশন ‘র্যাথ অফ গড’ শুরু করে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। ২০ বছর ধরে চলা এই অপারেশনে হামলাকারীদের খুঁজে খুজে বের করে খতম করা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এবার হামাসকে শেষ করতে সেই রকমই কোনও কৌশল নিয়েছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।