দেশের মহাকাশ গবেষণার অবিস্মরণীয় অবদান, প্রয়াত ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরীরঙ্গন

দেশের মহাকাশ গবেষণার অবিস্মরণীয় অবদান, প্রয়াত ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরীরঙ্গন

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরীরঙ্গন। শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে নিজের বাসভবনে তাঁর প্রয়াণ হয়। ইসরোর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এদিন সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। রবিবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তার আগে সকাল দশটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত সাধারণের শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য প্রয়াত বিজ্ঞানীর মরদেহ শায়িত থাকবে রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটে।

দীর্ঘ সময় ধরে তিনি ইসরোর চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। প্রায় দশ বছর দায়িত্ব সামলানোর পর ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অবসর নেন। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর এবং কর্নাটক নলেজ কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও সামলেছিলেন তিনি। অবসরের পরে ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন রাজ্যসভার সদস্য। ছিলেন ভারতের প্ল্যানিং কমিশনের সদস্যও। এছাড়াও ইসরোর স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টরের পদও সামলেছিলেন কস্তুরীরঙ্গন। ইনস্যাট-২, আইআরএস-১এ/১বি প্রভৃতির রূপকারদের অন্যতম ছিলেন তিনি। ভারতের প্রথম দুই পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী কৃত্রিম উপগ্রহ ভাস্কর ১ ও ভাস্কর ২-এর প্রোজেক্ট ডিরেক্টরের দায়িত্বেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল। মহাকাশ গবেষণায় তাঁর সামগ্রিক অবদানের জন্য পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণে সম্মানিত হয়েছিলেন প্রবীণ বিজ্ঞানী।

তবে কস্তুরীরঙ্গন নিজে ছিলেন একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী। উচ্চশক্তিসম্পন্ন এক্স রে ও গামা রে নিয়ে তাঁর কৌতূহল ছিল সবচেয়ে বেশি। তিনি মহাজাগতিক এক্স-রের উৎস, গামা রশ্মি এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাদের প্রভাবের উপর গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *