সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোয়েব বশিরের বলটা ঠিকভাবেই ডিফেন্স করেছিলেন মহম্মদ সিরাজ। কিন্তু সেটাই যে ঘুরে গিয়ে বেল ভেঙে দেবে, তা বোধহয় নিয়তির লিখন ছিল। হতাশ-ক্লান্ত ভাবে মাটিতে বসে পড়লেন সিরাজ। অন্যদিকে রবীন্দ্র জাদেজার চোখেমুখে একরাশ অবিশ্বাস। দীর্ঘ লড়াই শেষে লর্ডসে ২২ রানে টেস্ট হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু এখনও যেন সিরাজের বিশ্বাসই হচ্ছে না, তিনি আউট হয়েছেন। এবার দেশের জন্য সবটা দিয়ে ম্যাঞ্চেস্টারে জিততে চান সিরাজ।
রাত পোহালেই ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট। ডু অর ডাই অবস্থা। লর্ডসে হারের রেশ ভুলে টেস্ট সিরিজে সমতা ফেরানোর লড়াইয়ে নামবেন শুভমানরা। কিন্তু সিরাজের হৃদয়ের একটা অংশ যেন এখনও লর্ডসের ওই শেষ বলটায় আটকে রয়েছে। তিনি বলছেন, “আমার সঙ্গে জাড্ডু ভাইয়ের দারুণ পার্টনারশিপ হচ্ছিল। যেভাবে ব্যাট করছিলাম, তাতে এই আত্মবিশ্বাস জন্মেছিল, আমি আউটই হব না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে, ব্যাটের মাঝখান দিয়ে খেলেও আমি আউট হয়েছি। মন ভেঙে গিয়েছিল।”
সিরাজ আরও বলছেন, “এই যন্ত্রণা বহুদিন থেকে যাবে। আমি এমনিতে খুব আবেগপ্রবণ মানুষ। কত কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম আমরা! কিন্তু এটাই ভাগ্য। নিয়তিকে তো মেনে নিতেই হবে। মেনে, পরের চ্যালেঞ্জে মন দিতে হবে। মাঠে যখন নামব, দেশকে জেতাতেই নামব। ম্যাঞ্চেস্টারেও আমার সেই একই টার্গেট থাকবে।”
বর্তমানে ভারতের পেস বিভাগ চোটে কাহিল। জশপ্রীত বুমরাহর ‘ওয়ার্কলোড’ নিয়েও সমস্যা আছে। কিন্তু সিরাজের ওসবের বালাই নেই। মাঠে নামলে একশো শতাংশ উজাড় করে দেন। তিনি বলছেন, “দেখুন, দেশের জন্য খেলি। নিজের সবটা দিতে তৈরি। আর যখন আমি সেটা করি, তখন রাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারি। তাতে যদি আমি পছন্দমতো ফলাফলও না পাই, তাতে অসুবিধা নেই। ঈশ্বর আমাকে ফিট রেখেছেন। ওয়ার্কলোড নিয়ে বিজ্ঞানীরা কথা বলুক। আমি শুধু চাই দেশের জন্য যতটা সম্ভব বেশি ম্যাচ খেলতে।”