রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: কফিনবন্দি হয়ে নদিয়ার তেহট্টের বাড়িতে ফিরেছেন বীর শহিদ জওয়ান ঝন্টু শেখ। ভাইয়ের কফিন নিজের কাঁধে নিয়ে এসেছেন দাদা সুবেদার রফিকুল শেখ। ঝন্টুকে হারিয়ে কান্নার রোল উঠেছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। বুক ফেটে গেলেও চোখে এতটুকু জল দেখা যায়নি দাদার। সেনাবাহিনীর পোশাকেই সকলের সঙ্গে কথা বলেছেন। কখনও কফিন বন্দি ভাইয়ের কাছে গিয়েছেন। “ভাই চলে যাওয়ার দুঃখ আছে। কিন্তু ভাই দেশের জন্য মৃত্যুবরণ করেছে বলে গর্বিত।” একথাই বলেছেন রফিকুল।
উধমপুরে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন জওয়ান ঝন্টু শেখ। গতকাল রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁর মৃতদেহ এসে পৌঁছয়। তারপর সড়ক পথে নদিয়ার তেহট্টে নিয়ে যাওয়া হয় তেহট্টে। সেখানেই সেনাবাহিনীর তরফে গান স্যালুট দেওয়া হয়েছে। ভাইয়ের কফিনের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে দাদা রফিকুল শেখকে। ভাইকে ছোট থেকে কোলেপিঠে বড় করেছেন তিনি। একসময় তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। দাদা ছিলেন আদর্শ। দাদাকে পথপ্রদর্শক করে ভাইও সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই ভাইই দেশের জন্য শহিদ হলেন।
“ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব নয়।” ধরে যাওয়া গলায় বলেন রফিকুল শেখ। তারপরই নিজেকে সামলে তিনি বলেন, ভাই চলে গিয়েছে, দুঃখ হয়েছে। প্রথমে সে দেশের জওয়ান, তারপরে আমার ভাই।” তিনি আরও বলেন, “ভাই চলে যাওয়ার দুঃখ সত্যিই আছে। কিন্তু সব থেকে বেশি গর্ব ভাই দেশের জন্য মৃত্যুবরণ করেছে।” রফিকুল শেখ নিজেও কাশ্মীরে পোস্টিং রয়েছেন। তিনি বলেন, “আমার কাছে সবার আগে দেশ, তারপরে পরিবার।”