সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’ মিশনের আবহেই দেশে মক ড্রিল। আর তারই অংশ হিসেবে অন্ধকারে ঢাকল রাজধানী। সন্ধ্যা ৮টা থেকে ৮টা ১৫ পর্যন্ত- প্রায় পনেরো মিনিট সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউটে’ রইল নয়াদিল্লি। দিল্লি পুরসভার তরফে একথা জানানো হল।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, অধিকাংশ বাড়ি-অফিস-রাস্তাঘাট অন্ধকারে ঢেকে গেলেও ছাড় দেওয়া হয় হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রধানমন্ত্রী আবাস, মেট্রো স্টেশন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান। তবে ইন্ডিয়া গেট, দূতাবাস ও অন্যান্য প্রশাসনিক ভবন অবশ্য ঢাকা পড়ল অন্ধকারেই।
প্রসঙ্গত, গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ঘোষণা করে বুধবার দেশজুড়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে অসামরিক মহড়া হবে। দেশের ২৭টি রাজ্য এবং আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২৫৯টি জায়গায় এই মহড়ার নির্দেশকা দিয়েছিল অমিত শাহ-র দপ্তর। তার মধ্যে বাংলার ২৩টি জেলার ৩১টি জায়গাও ছিল। এদিকে তার আগেই মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত।
পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। ভারতের হাতে সজোরে থাপ্পড় খেয়ে ফুঁসছে পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পাশাপাশি পাক সেনার তরফেও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, সময় সুযোগ বুঝে ভারতকে এর জবাব দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতির মাঝেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, দেশের আধাসেনার সব জওয়ানের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিএসএফ, সিআরপিএফ, আইটিবিপি, এসএসবি ও সিআইএসএফের মতো প্রধান সব আধাসামরিক বাহিনীর নিজেদের কর্তব্যপালনে ফিরতে হবে জওয়ানদের। যদিও পাকিস্তান পরে জানিয়েছে, ভারত যদি আর হামলা না চালায় সেক্ষেত্রে তারাও আক্রমণের পথে যাবে না। তবু সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে মক ড্রিলের মধ্যে দিয়ে অসামরিক প্রস্তুতিও বুধবার সেরে রাখল ভারত।