শ্রীলঙ্কা: ১৩৩-৮ (কামিন্দু ৫০, আসালঙ্কা ২০, শাহিন ৩-২৮)
পাকিস্তান: ১৩৮-৫ (মহম্মদ নওয়াজ ৩৮, হুসেন তালাত ৩২)
পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী।
স্টাফ রিপোর্টার: দুঃস্বপ্নের এশিয়া কাপে এক টুকরো আশার আলো পাকিস্তানের। সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখল পাক দল। আবু ধাবিতে লো স্কোরিং ম্যাচে গতবারের রানার্স শ্রীলঙ্কাকে পাকিস্তান হারিয়ে দিল ৫ উইকেটে। ভারতের বিরুদ্ধে জোড়া হারের যন্ত্রণা সামলে এদিন ব্যাটে-বল-ফিল্ডিং সব বিভাগেই লঙ্কা ব্রিগেডকে ওড়াল পাকিস্তান।
মঙ্গলবার আবু ধাবিতে দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের প্রথম ইনিংস শেষেই অ্যাডভান্টেজ চলে যায় পাকিস্তানের হাতে। সৌজন্যে শাহিন শাহ আফ্রিদির (৩-২৮) দুরন্ত বোলিং। এদিন নিজের প্রথম দু’ওভারে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিলেন শাহিন, দু’বারই ওভারের দ্বিতীয় বলে উইকেট নিয়ে। প্রথমে কুশল মেন্ডিস (০) ও পরে পথুম নিশঙ্কা (৮)- পরপর দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে গত এশিয়া কাপের রানার্সরা। তাদের হয়ে কিছুটা লড়াই করছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস (৫০)। টি-টোয়েন্টি সুলভ ইনিংস না হলেও দলের রানটা ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দেন তিনি। তবে শেষদিকে সেট হওয়া কামিন্দুকেও ফেরান সেই শাহিন। কুশল পেরেরা (১৫), চারিথ আসালঙ্কা (২০), ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গারা (১৫) ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে শ্রীলঙ্কা করে ১৩৩-৮। ভালো বল করেছেন আবরার আহমেদও। চার ওভারে একটা উইকেট পেলেও তিনি দেন মাত্র ৮ রান। এছাড়া হুসেন তালাত ও হ্যারিস রউফ দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে পাকিস্তান। প্রথম ওভারের জুটিতেই পাক দল তুলে ফেলে ৪৫ রান। পাওয়ার প্লে-তে দলের রানের গতিও ছিল ভালো। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হতেই হাসারাঙ্গা এবং তীক্ষণার সৌজন্যে ম্যাচে ফেরে শ্রীলঙ্কা। গোটা পাক মিডল অর্ডার ব্যর্থ হয়। মাত্র ৩৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে পাকিস্তান। একটা সময় তাদের স্কোর ছিল পাঁচ উইকেটে ৮০ রান। সেসময় কারও কারও মনে হচ্ছিল, তাহলে কি ফের চাপের মুখে মাথা নোয়াবেন সলমন আলি আঘারা? যদিও পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরনোর আগে ঘুরে দাঁড়ান মহম্মদ নওয়াজ (অপরাজিত ৩৮), হুসেন তালাতরা (অপরাজিত ৩২)। ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে ধৈর্য ধরে পাকিস্তানকে জয় এনে দেন তাঁরা। ১২ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ফলে নেট রান রেটেও অনেকটা এগিয়ে গেল পাক দল।
চলতি এশিয়া কাপ এ পর্যন্ত দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে পাকিস্তানের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিরুদ্ধে দুই সাক্ষাতে দু’বারই একপেশেভাবে হেরেছেন ফকর জামানরা। আজকের ম্যাচ ছিল একপ্রকার মরণ-বাঁচন ম্যাচ। শ্রীলঙ্কাকে হারাতে না পারলে ফাইনালে ওঠার লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে যেতে হত শাহিন আফ্রিদিদের। এদিনের জয়ে ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখল পাকিস্তান। তবে শ্রীলঙ্কার জন্য ফাইনালের রাস্তা কার্যত বন্ধ। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে সুপার ফোরেই শেষ হচ্ছে তাঁদের অভিযান।