দুঃসময় অব্যাহত সইফদের, পতৌদির ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি চলে যাবে কেন্দ্রের হাতে!

দুঃসময় অব্যাহত সইফদের, পতৌদির ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি চলে যাবে কেন্দ্রের হাতে!

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়টা ভালো যাচ্ছে না সইফ আলি খানের পরিবারের। কয়েকদিন আগেই নিজের বাড়িতে আক্রান্ত হতে হয়েছে অভিনেতাকে। তার মধ্যেই জানা যাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশে (মূলত ভোপালে) পতৌদি পরিবারের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি চলে যেতে পারে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে। আসলে এই সম্পত্তিগুলিতে থাকা স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে আদালত। সেই কারণেই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি খোয়াতে চলেছে সইফের পরিবার।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে ওই সম্পত্তি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই রাজ্যের হাই কোর্ট তা তুলে নিয়েছে। বিচারপতি বিবেক আগরওয়াল জানিয়ে দেন, ২০১৭ সালের সংশোধিত শত্রু সম্পত্তি আইনে ৩০ দিনের মধ্যে ওই সম্পত্তির দাবি করতে পারে কেন্দ্র। ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ পতৌদি পরিবারকে নিজেদের বক্তব্য পেশ করতে বলে। কিন্তু একমাস পেরিয়ে গেলেও পরিষ্কার নয় তারা তেমন কিছু করেছে কিনা। এহেন পরিস্থিতিতে ভোপালের জেলা প্রশাসন এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না। যদিও ভোপালের কালেক্টর কৌশলেন্দ্র বিক্রম সিং জানিয়েছেন, হাই কোর্টের রায় পরিষ্কার হলেই তবে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।

২০১৫ সালেই মুম্বইয়ে অবস্থিত শত্রু সম্পত্তি সংক্রান্ত দপ্তরের তরফে ঘোষণা করা হয় ভোপালের নবাবের জমি সরকারি সম্পত্তি। এরপরই পতৌদি পরিবার আইনের দ্বারস্থ হয়। দাবি করে, ভোপাল ও রাইসেনে অবস্থিত ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস, আহমেদাবাদ প্যালেস থেকে রাইসেনের কোঠি ও কোঠি সংলগ্ন জঙ্গল ইত্যাদি সবই তাদের সম্পত্তি। কিন্তু এবার শত্রু সম্পত্তি আইনে সবই হাতছাড়া হতে পারে তাদের।

কিন্তু কী এই শত্রু সম্পত্তি আইন? আসলে ১৯৪৭ সালে ভোপাল ছিল এক প্রিন্সলি স্টেট। যার শেষ নবাব ছিলেন হামিদুল্লা খান। তিনিই সইফের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদির মাতামহ। তাঁর তিন কন্যার মধ্যে যিনি বড়, সেই আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান। দ্বিতীয় কন্যা সাজিদা সুলতান ভারতেই থেকে যান। বিয়ে করেন সইফের ঠাকুর্দা ইফতিকার আলি খান পতৌদিকে। এর ফলে সইফের ঠাকুর্দা ওই সমস্ত সম্পত্তির আইনত উত্তরাধিকারী হয়ে যান। ২০১৯ সালে আদালত জানিয়ে দেয়, সাজিদা সুলতান ওই সম্পত্তির বৈধ উত্তরসূরি। এবং তাঁর নাতি সইফ আলি খানের সেই সম্পত্তিতে অংশ রয়েছে। কিন্তু আবিদা পাকিস্তানে চলে যাওয়ায় রকার এটিকে শত্রু সম্পত্তি বলে দাবি করে। আর এই সম্পত্তির উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার ফলেই নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *