দীপিকার মতো ৮ ঘণ্টার শিফট নয়! শুটিংয়ে পালা করে মেয়ে রাহাকে সামলান রণবীর-আলিয়া, কী বললেন কাপুরবধূ?

দীপিকার মতো ৮ ঘণ্টার শিফট নয়! শুটিংয়ে পালা করে মেয়ে রাহাকে সামলান রণবীর-আলিয়া, কী বললেন কাপুরবধূ?

রাজ্য/STATE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীপিকা পাড়ুকোনের আট ঘণ্টার শিফটে কাজ করার দাবি নিয়ে মাস তিনেক ধরেই ভারতীয় সিনেদুনিয়ায় শোরগোল। কাজের পাশাপাশি সন্তানকে দেখভাল করার জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ রাখতে চান, সেইসূত্রেই এমন দাবি তুলেছিলেন বলিউডের ‘পদ্মাবতী’। যার জেরে সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার বিগবাজেট প্রজেক্ট থেকে বাদ পড়েছেন দীপিকা। বলিউডের অন্যান্যা তারকা মায়েরা যদিও এমন দাবিতে দীপিকাকে সমর্তন জানিয়েছেন, তবে আলিয়া ভাট শোনালেন অন্য কথা। কাপুরবধূ জানিয়েছেন, শুটিংয়ের ফাঁকে সেটে মেয়ে রাহার দায়িত্ব তিনি এবং রণবীর সমানভাবে ভাগ করে নেন। আর এভাবেই চলছে তাঁদের জীবন।

উল্লেখ্য, প্রেগন্যান্সি পর্বেও হলিউড সিনেমার অ্যাকশন সিকোয়েন্সের শুট করে কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন আলিয়া ভাট। অন্যদিকে মেয়ের জন্মের পরও কাজ থেকে বিরতি নেননি। কখনও মেটগালার লাল গালিচায় পশ্চিমী বিনোদুনিয়াকে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন তো আবার কখনও বা ব্রাজিলে ছুটে গিয়েছেন প্রসাধনী সংস্থার বিজ্ঞাপনী দূত হিসেবে। এসবের মাঝেই আবার কখনও বন্ধুর বিয়ের জন্য ইটালিতে আবার কখনও বা লাগাতার ছবির শুটিং করে গিয়েছেন। একসময়ে আলিয়া জানিয়েছিলেন, “রাহাকে বাড়িতে রেখে কাজে যাই বলে, মাঝেমধ্যে অপরাধবোধে ভুগি।” তবে মা হওয়ার পর কেরিয়ারের পাশাপাশি যেভাবে ব্যক্তিগতজীবন সামলাচ্ছেন আলিয়া, সেটা আদতেই প্রশংসার দাবিদার।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিনেত্রী তাঁর ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন। সেখানেই আলিয়া ভাট জানান, “রণবীরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা যতটা না চ্যালেঞ্জিং, তার থেকেও অনেক বেশি ফলপ্রসূ। এটা হাস্যকর শোনাতেই পারে। তবে এর অনেক সুবিধাও রয়েছে। এই যেমন আমরা রাহাকে পালা করে সময় দিয়েছি। ছবির বেশিরভাগ শুটিং আমরা রাতে করেছি, তাই সাধারণত দিনের বেলা রাহার সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে পেরেছি। তাছাড়া কোনওদিন রণবীর শুটিং করত, আমি রাহার সঙ্গে থাকতাম। আবার উলটোটাও হয়েছে। আবার অনেকসময় তো সেটে রণবীরের সঙ্গে থাকতেও পারিনি আমি।” অভিনেত্রীর সংযোজন, “রাহা মাঝেমধ্যে আমাদের সেটে চলে আসত। তাছাড়াও ওর ক্লাস, খেলাধূলা থাকে। দিদা-ঠাকুমাদের সঙ্গেও সময় কাটায় রাহা। আমার কাছের মানুষরা আমাকে যেভাবে সাহায্য করেন প্রতিনিয়ত, আমি তার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *