দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সৎ মায়ের অত্যাচারে অতিষ্ট! প্রাণে বাঁচতে স্কুল সেরে বাড়ি ফেরার পথে সোজা থানায় হাজির নাবালিকা। সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। অভিযোগ পেয়েই নাবালিকার সৎ মা ও বাবাকে থানায় ডাকেন অফিসাররা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি নাবালিকার কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ক্যানিংয়ের বাসিন্দা ওই নাবালিকা ক্যানিংয়ের থুমকাঠি জুনিয়র হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। মায়ের মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করে বাবা। তারপর থেকেই অশান্তির শুরু। ছাত্রীর অভিযোগ, সৎ মায়ের অত্যাচার সে আর সহ্য করতে পারছে না। সৎ মা মামনি বিবি নাকি সারাদিন সংসারের সমস্ত কাজ করতে বাধ্য করে তাকে। হাড়ভাঙা খাটুনির সঙ্গে চলে অকথ্য গালিগালাজ, মারধর। আরও অভিযোগ, কোনও কাজে ভুল হলেই জোটে বেধড়ক মার। শুক্রবার রাতেও নাবালিকা ছাত্রীকে প্রচণ্ড মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
নির্মম যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে স্কুল থেকে ফেরার পথে সোজা ক্যানিং থানায় গিয়ে হাজির হয় সে। গোটা বিষয়টা জানায়। তার অভিযোগ, বাবাকে বিষয়টা জানালেও কোনও লাভ হয়নি। বরং নালিশ করলে কপালে জুটতো আরও মার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে তার বাবা নজরুল মোল্লা ও সৎ মা মামনি বিবিকে। পাশাপাশি ওই ছাত্রীকে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।