দিঘার জগন্নাথের মহাপ্রসাদ বিলি বিনা পারিশ্রমিকেই, ভর্তুকি নেবেন না রেশন ডিলাররা

দিঘার জগন্নাথের মহাপ্রসাদ বিলি বিনা পারিশ্রমিকেই, ভর্তুকি নেবেন না রেশন ডিলাররা

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


স্টাফ রিপোর্টার: মহাপ্রসাদ বলে কথা! দিঘায় জগন্নাথ মহাপ্রভুকে নিবেদন করা খোয়া ক্ষীর মিশবে প্যাঁড়া আর গজায়। বাড়ি বাড়ি পাঠানো হবে সেই প্রসাদই। এই পুণ্য বিলিকাজের জন্য কোনও পারিশ্রমিক নেবেন না রেশন ডিলাররা।

সরকার যেমন বিনামূল্যে মহাপ্রভুর প্রসাদ রাজ্যে বাড়ি বাড়ি বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তেমনই ডিলাররাও ঠিক করেছেন এর জন্য সরকারের কাছে কোনও ভরতুকি-মূল্য তাঁরাও নেবেন না। আগামী সপ্তাহেই প্রসাদ বিলি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে সরকার পক্ষের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ডিলারদের। সেখানেই এই প্রস্তাব সরকারকে দেবেন রেশন ডিলাররা।

এলাকার কোন কোন মিষ্টির দোকান থেকে গজা আর প্যাঁড়া বানানো হবে সেটা ঠিক করে দেবে স্থানীয় পুর-কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে যে মহাপ্রসাদের খোয়া ক্ষীর মিশবে, সেটা আসবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে প্রভুকে নিবেদন করা ভোগ থেকে। মিষ্টির দোকান থেকে সেই প্যাকেট আনানো, গ্রাহকদের মধ্যে তা বিলি করার জন্য সরকারের তরফে ডিলারদের প্রতি প্যাকেট ১ টাকা করে ব্যয় বরাদ্দ ভরতুকি হিসাবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই অনুযায়ী রাজ্যে ১১ কোটি রেশন গ্রাহক ধরলে ১১ কোটি টাকা ডিলারদের পাওয়ার কথা। এই ভরতুকি-মূল্যই ডিলাররা নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ইতিমধ্যে মহাপ্রসাদ বিলি নিয়ে জেলাশাসক স্তরে বিভিন্ন জেলায় এক দফা বৈঠক সারা হয়ে গিয়েছে। ১৭জুন থেকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে নিবেদন করা খোয়া ক্ষীর সহযোগে প্রভুর প্রসাদ বিলি শুরু হওয়ার কথা। উলটোরথের মধ্যে তা সেরে ফেলতে চায় মন্দির ট্রাস্টি। ডিলাররা হিসাব করে বলছেন, ঠিক ঠিক সময় ধরে প্রসাদ বিলি হলে উলটোরথের আগেই সেই কাজ সারা হয়ে যাবে।

এত বড় কাজে রেশন দোকানগুলোকে যোগ্য বলে বেছে নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। তাঁরা ঠিক করেছেন, সোম থেকে শুক্র যেহেতু পাড়ায় পাড়ায় দুয়ারে রেশন চলে ফলে সেই সুবিধা নিয়ে বাড়ি বাড়ি সহজেই পৌঁছনো যাবে মহাপ্রসাদ। আর শনি ও রবি রেশন দোকান থেকে রেশন বিলি হয়। তাই ওই দুদিন দোকানেই প্রসাদ মিলবে।

এরই প্রেক্ষিতে সরকার পক্ষকে আরও একটি প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিলাররা। বিশ্বম্ভরবাবুর কথায়, “মহাপ্রসাদের সঙ্গে যে মিষ্টির প্যাকেট থাকবে তার মান নিয়ে যাতে কোনও আপস না হয় তা দেখতে ফুড ইন্সপেক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রস্তাব, সেই মিষ্টির মেয়াদ কতদিনের তাও লিখিত আকারে প্যাকেটে উল্লেখ থাকুক।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *