দার্জিলিঙ একঘেয়ে, মনে ধরছে না সিকিমও! বেড়িয়ে আসুন সবুজে মোড়া কালেজ ভ্যালি থেকে

দার্জিলিঙ একঘেয়ে, মনে ধরছে না সিকিমও! বেড়িয়ে আসুন সবুজে মোড়া কালেজ ভ্যালি থেকে

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছুটি পেলেই পাহাড় প্রেমীদের মন উড়ু উড়ু! চোখ বন্ধ করলে ‘শায়িত বুদ্ধে’র স্বপ্ন! হাতছানি দেয় বরফাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা! কানে আসে টয় ট্রেনের চাকার শব্দ! কিন্তু দিন দিন ঘিঞ্জি হচ্ছে দার্জিলিং। ফলে বেড়াতে গিয়েও দুদণ্ড শান্তিতে কাটানোর জো নেই। তাই মানুষ ঝুঁকছে ‘অফবিট ডেস্টিনেশনে’র দিকে। উঠে আসছে, নতুন-নতুন গ্রামের নাম। যার মধ্যে অন্যতম কালেজ ভ্যালি বা রংবুল। চোখ টানছে পর্যটকদের।

 

 

কোথায় এই কালেজ ভ্যালি?
উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে ছোট্ট একটা গ্রাম। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে গ্রামটি। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ৫২ কিলোমিটার দূরে সবুজে মোড়া এই উপত্যকা। সোনাদা হয়ে ঘুমের দিকে যাওয়ার আগেই রয়েছে সবুজ চা বাগানে ঘেরা কালেজ ভ্যালি। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে পৌঁছতে সময় লাগে মোটামুটি আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা।

 

কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে যেতে চাইলে ট্রেন ধরে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। বা বাসে চেপে তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ড। বা প্লেনে বাগডোগরা। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে কালেজ ভ্যালি। শেয়ার গাড়িতেও রংবুল পর্যন্ত আসা যায়। আবার সেখানকার হোম স্টে-কে বলে রাখলেও তারা গাড়ি পাঠিয়ে দেবে।

 

কী কী দেখবেন?
এই এলাকায় প্রচুর কালেজ পাখি দেখা যায়। সেখান থেকেই এলাকার নাম হয়েছে কালেজ ভ্যালি। চারদিকে রয়েছে চা বাগান আর পাইন গাছ। ২ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে রেনবো বা ইন্দ্রাণী ফলস। পাহাড়ি রাস্তা ধরে ট্রেকিং করে গন্তব্যে পৌঁছতে ভালোই লাগবে। কেউ গাড়িতে খানিকটা গেলেও শেষ এক কিলোমিটার ঘন গাছপালায় ঘেরা পাকদণ্ডি বেয়ে হাঁটতেই হয়। আসলে সূর্যের আলো পড়ে ঝরনা বুকে রামধনু তৈরি হয় বলে নাম হয়েছে রেনবো ফলস। ঝরনার চারিদিক বাঁধানো। ফলে সেখানে বসে দুদণ্ড জিরিয়েও নিতে পারবেন।

 

 

কোথায় থাকবেন?
এখানে থাকার খুব বেশি জায়গা নেই। রয়েছে মাত্র দুটো হোম স্টে। দুটোই একদম চা বাগানের ধার ঘেঁষে। এক কালেজ ভ্যালি কানন হোম স্টে আর রেনবো ভ্যালি রিসর্ট। কানন হোম স্টে-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন ৯৬৩৫৫৮৪৪৩০ অথবা ৯৮৩০৩২২৮২১ এই নম্বরে। এই হোম স্টে-তে তিনরকমের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তিনটি কটেজ রয়েছে। যেখানে চারবেলা খাওয়া ও থাকার জন্য প্রতিদিন মাথাপিছু খরচ ১৬০০ টাকা। চারটি ডবল বেডেড রুম রয়েছে। যেখানে থাকা-খাওয়া নিয়ে প্রতিদিন মাথাপিছু খরচ ১৩০০ টাকা। রয়েছে তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থাও। সেক্ষেত্রে খরচ ১০০০ টাকা। তিন ক্ষেত্রেই বাচ্চাদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়। ৫ বছরের নিচের শিশুদের জন্য নিখরচায় থাকার ব্যবস্থা রয়েছে কানন হোম স্টে-তে। ৫-১০ বছরের শিশুদের খরচ বড়দের ৫০ শতাংশ। তবে ১০ বছরের উপরের বাচ্চাদের পুরো খরচই লাগবে।

সারা বছরই যেতে পারেন কালেজ ভ্যালিতে। তবে বর্ষায় অনন্য রূপ ধারন করে সবুজে মোড়া এই এলাকা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *