রণজিৎ ঘোষ, শিলিগুড়ি: এবার দার্জিলিং (Darjeeling) ও কালিম্পংকে (Kalimpong) সিকিমের (Sikkim) সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার দাবিতে সরব হচ্ছেন একাংশ রাজনৈতিক নেতা। বৃহস্পতিবার একই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে দাবিপত্র দিতে সিকিমের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ডঃ হরকাবাহাদুর ছেত্রীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। যদিও মাঝপথে বাংলা-সিকিম সীমান্তে তাঁদের আটকে দেয় পড়শি পাহাড়ি রাজ্যের পুলিশ। বৃহস্পতিবারের ঘটনা।
গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গঠনের দাবিতে দীর্ঘ কয়েকদশক ধরে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে পাহাড়। বিজেপিও (BJP) সেই দাবিকে মান্যতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে একের পর এক লোকসভা, বিধানসভা আসন জিতেছে। আলাদা রাজ্য দূরে থাক, ১১টি জনজাতিকে তপশিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার আর্জিও মান্যতা পায়নি এতদিনে। সম্প্রতি দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বার চিঠির জবাবে কেন্দ্রীয় তপশিলি উপজাতি বিষয়কমন্ত্রী জুয়েল ওরাম স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিষয়টি এখনও পর্যন্ত ভাবনায় নেই।
হরকাবাহাদুরের নেতৃত্বে সিটিজেন্স ফোরাম তৈরি হয়েছে। নয়া সংগঠনের লক্ষ্য, সিকিমের সঙ্গে দার্জিলিং ও কালিম্পংকে জুড়ে দেওয়া। কালিম্পংয়ের প্রাক্তন বিধায়ক বলছেন, ‘গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তো দীর্ঘদিন আন্দোলন চলল। কেন্দ্রীয় সরকার শুধু ভোট এলে পৃথক রাজ্যের আশ্বাস দেয়, তারপর ভোট পেরিয়ে গেলে সব ভুলে যায়। আমরা বুঝতে পেরেছি, কেন্দ্রে যে সরকার আসুক না কেন, আমাদের গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে মান্যতা দেবে না। তাহলে আমাদের সিকিমের সঙ্গেই মিলিয়ে দেওয়া হোক।’ তাঁর দাবি, একসময় তো এই পার্বত্য অঞ্চল সিকিমের অংশ ছিল। তাই আবারও সিকিমকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিকিমে আসছেন জেনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে চিঠি দিয়েছিল সিটিজেন্স ফোরাম। সেই চিঠি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গৃহীত হলেও তাঁদের নির্দিষ্ট কোনও সময় দেওয়া হয়নি, জানিয়েছেন হরকাবাহাদুর। তবুও এদিন তাঁর নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে সিকিমে রওনা হন সিটিজেন্স ফোরামের প্রতিনিধিরা। এদিকে, মাঝপথে রানিপুলে সিকিম পুলিশ তাঁদের গাড়ি আটকে দেয়। নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের সিকিমে ঢুকতে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেন আধিকারিকরা। রণে ভঙ্গ দিয়ে সেখান থেকে ফিরে আসেন হরকাবাহাদুররা।
পরে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী না হোক, অন্তত তাঁর সচিবের হাতে দাবিপত্র তুলে দেব ভেবেছিলাম। কিন্তু সুরক্ষার অজুহাতে সিকিম পুলিশ আমাদের সেই রাজ্যে ঢুকতে দেয়নি। পরে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ফ্যাক্স মারফত দাবিপত্র পাঠিয়েছি।’