মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বাংলায় এবার পিঁয়াজের গোলা তৈরি করবে রাজ্য সরকার। মোট ২৫ টন পিঁয়াজ সংরক্ষণ সম্ভব হবে। এই কথাই জানালেন, রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। আজ শুক্রবার উলুবেড়িয়া পুরসভা চত্বরে সুফল বাংলার স্থায়ী বিপণন কেন্দ্র উদ্বোধনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী।
রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে পিঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকে। সাধারণ মধ্যবিত্ত বাসিন্দাদের মধ্যে পিঁয়াজ কিনতে পকেটের অনেক কড়ি খসাতে হয়। সেসব দিক ভেবেই এবার পিঁয়াজের দাম কমাতে উদ্যোগী রাজ্য। রাজ্যবাসীকে সুলভ মূল্যে পিঁয়াজ খাওয়াতে উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য কৃষি বিপণন দপ্তর। সেজন্য তারা পিঁয়াজ গোলা তৈরি করছে। সেখান থেকেই পিঁয়াজ বাংলার বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হবে।
বেচারাম মান্না বলেন, “আমরা আপাতত সাতটি পেঁয়াজ গোলা তৈরি করছি। রাজ্যজুড়ে সেখানে ২৫ টন পিঁয়াজ সংরক্ষণ সম্ভব হবে। ধীরে ধীরে তা আরও বাড়ানো হতে পারে।” হাওড়া, বলাগড়, নদিয়া-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই সাতটি পেঁয়াজ গোলা তৈরি হবে। পরে আরও গোলা বাড়ানো হবে। পিঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতেও সচেষ্ট রয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে পিঁয়াজ বীজ উৎপাদন হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যে এই মুহূর্তে স্থায়ী এবং অস্থায়ীভাবে ৬৪৬টি সুফল বাংলার বিপণন কেন্দ্র রয়েছে রাজ্যে। এই সুফল বাংলার স্থায়ী বিপণন কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮২। এছাড়া ৪৫৮টি অস্থায়ী কেন্দ্র আছে। যখন আলুর দাম বেড়ে গিয়েছিল, হাওড়া, কলকাতা-সহ আশপাশে তখন আরও ১০৬ টি অতিরিক্ত অস্থায়ী বিপণন কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। তাই সব মিলিয়ে মোট এই মুহূর্তে ৬৪৬টি সুফল বাংলা কাজ করছে। মন্ত্রী আরও জানান, নতুন স্টলের জন্য দিন পনেরোর মধ্যে আরও ৫০টি নতুন গাড়ি কেনা হচ্ছে। উলুবেড়িয়ার এই সুফল বাংলা বিপণন কেন্দ্রে তুলাইপঞ্জি, কালোনুনিয়ার মতো সুস্বাদু চাল পাওয়া যাবে।
মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, “আমাদের এখানে যেসব জায়গায় সবজি আলু চাষ হয়, সেখানকার কৃষকরা যদি এই বিপণন কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন করে রাখেন, তাহলে তাঁদের কাছ থেকেও পণ্য কেনা হবে। পোলট্রি ফার্মের মালিকরাও রেজিস্ট্রেশন করলে, তাঁদের থেকে ডিম-সহ পণ্য কেনা হবে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত এই বিবরণ কেন্দ্র খোলা থাকবে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি বিপণন দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ওঙ্কার সিং মিনা, হাওড়া জেলাশাসক পি দীপা প্রিয়া, হাওড়া জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য। এছাড়াও ছিলেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল, উলুবেড়িয়া পূর্বের বিধায়ক বিদেশ বসু, উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস, ভাইস চেয়ারম্যান ইনামুর রহমান প্রমুখ।