দাঁতন ভাঙতে গিয়ে বাঘের মুখে! চোখে চোখে রেখে লড়াই, হাড়হিম কাহিনি শোনালেন বাঁকুড়ার কৃষক

দাঁতন ভাঙতে গিয়ে বাঘের মুখে! চোখে চোখে রেখে লড়াই, হাড়হিম কাহিনি শোনালেন বাঁকুড়ার কৃষক

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সুমিত বিশ্বাস ও দেবব্রত দাস: দাঁতন ভাঙতে জঙ্গলে গিয়ে দক্ষিণরায়ের মুখোমুখি! স্নায়ু শক্ত করে চোখে চোখ রেখে লড়াই। একপর্যায়ে পিছু হেঁটেছে দক্ষিণরায়। প্রাণ বাঁচিয়ে ঘরে ফিরে সেই মুহূর্তের হাড়হিম অভিজ্ঞতা জানালেন বাঁকুড়ার সর্বেশ্বর মাণ্ডি।

মাস দেড়েক ধরে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে দক্ষিণরায়। প্রথমে জিনাত, তারপর তার প্রেমিক নাজেহাল করছে বনদপ্তরের কর্মীদের। রবিবার সকালে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাঁকুড়ায়। এলাকার এক যুবকের দাবি, তিনি চাক্ষুস করেছেন হলুদ ডোরাকাটা। একেবারে বাঘের গণ্ডির মধ্যে পড়ে গিয়ে কোনওক্রমে বেঁচে ফিরেছেন। কীভাবে ফিরলেন? সর্বেশ্বর মাণ্ডি নামে ওই যুবকের কথায়, “আমি একেবারে সকালের দিকে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিলাম। সেই সময় পুকুরকাটা জঙ্গলে আমি দাঁতন ভাঙছিলাম মুখ ধোওয়ার জন্য। হঠাৎ চোখে পড়ে বাঘ, চমকে উঠি। ১৫-২০ ফুট দূরে থাকলেও পা তুলে গর্জন করছিল। আমি উপস্থিত বুদ্ধি ব্যবহার করে গায়ে থাকা চাদর মাথার উপরে বনবন করে ঘোরাতে শুরু করি। আর হুলা পার্টির মত চিৎকার জুড়ে দিই। তবুও আমার চোখে চোখ রেখে গর্জন করে যাচ্ছিল সে। ভয়ে কেঁপে উঠেছিলাম আমি। কিন্তু ওকে সেটা বুঝতে দিইনি। কিছুক্ষণ পর সে পিছনে চলে যায়। তারপর কোনওক্রমে দৌড়ে একটি পোলট্রি ফার্মে ঢুকি।”

পেশায় কৃষক ওই যুবকের ব্যাঘ্র দর্শনের কথা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না বনদপ্তর। তবে বাঘের বর্তমান অবস্থান কোথায় তা জানাতে চাইছে না। টাইগার কনজারভেশন অথরিটির বিধি অনুযায়ী রাজ্যের বনবিভাগের এই সিদ্ধান্ত। বাঁকুড়ার ডিএফও (দক্ষিণ) প্রদীপ বাউরি বলেন, “বাঘটি সম্ভবত শনিবার রাত থেকে রবিবার সকালের মধ্যে সারেঙ্গা থেকে রাইপুর হয়ে রানিবাঁধের বারোমাইল জঙ্গলের পথে চলে যায়। সেখান থেকে সুতান, ঝিলিমিলি হয়ে বান্দোয়ান চলে গিয়েছে বলে অনুমান।” পুরুলিয়ার এই বান্দোয়ান বনাঞ্চল যে জিনাতের মতোই তার সঙ্গীরও ভীষণ প্ৰিয়। এই বান্দোয়ানের এক বনাঞ্চলেই রয়েছে রাইকা পাহাড়। ওই পাহাড়েই অস্থায়ী ডেরা বেঁধেছিল জিনাত। তার সঙ্গীও ঝাড়খণ্ডের দলমা থেকে আটদিন ওই রাইকা ও পাহাড়তলির ভাঁড়ারি জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। ওই এলাকাতেই দু-দুবার ট্র্যাপ ক্যামেরায় বন্দি হয়। তাহলে কি জিনাত সঙ্গী আবারও সেই রাইকা পাহাড়ে যাবে? কি বলছে কংসাবতী দক্ষিণ বনবিভাগ? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই তাঁদের কাছে। কারণ, জিনাত সঙ্গীর পদচারনা দেখে গুগলের সাহায্য নিয়ে বনদপ্তর যে রোড ম্যাপ করছে তা এক প্রকার ভেস্তে দিচ্ছে জিনাত সঙ্গী। একেবারে ইউটার্ন করে অন্য পথে হাঁটছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *