‘দলে অনেক গদ্দার আছে’, হুগলির বাড়িতে ফিরে হুঙ্কার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলফেরত শান্তনুর

‘দলে অনেক গদ্দার আছে’, হুগলির বাড়িতে ফিরে হুঙ্কার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলফেরত শান্তনুর

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সুমন করাতি, হুগলি: প্রায় দু’বছর পরে জেলমুক্তি ঘটেছে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার নিজের জেলা হুগলিতে পা দেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন শান্তনু। তিনি জানান, “অনেক লোকের সঙ্গে থেকে বুঝেছি, তারা দলে থেকে গদ্দারী করছেন। অন্য দলের সঙ্গে ব্যালেন্স করে চলে।” এই বিষয়টি তিনি অন্য কারও সাহায্য়ে দলকে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন। দল ফিরিয়ে নিলে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

এদিন তাঁর অপেক্ষায় আসাম রোডের পাশে এলাকাবাসীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। শান্তনু আসতেই তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর স্থানীয় কালীমন্দিরে গিয়ে নমস্কার করে বাড়িতে ঢোকেন তিনি।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৩ সালের ১০ মার্চ ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তৎকালীন হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে এই দুর্নীতির অন্যতম কারিগর হিসাবে উঠে আসে শান্তনুর নাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিচারপ্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় জামিন পান শান্তনু। ইডির মামলায় অনেক আগেই জামিন পেয়েছিলেন। তবে সিবিআইয়ের মামলায় জেলেই ছিলেন। বৃহস্পতিবার জামিন পান তিনি।

বাড়িতে ঢোকার আগে শান্তনু বলেন, “বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কিছু বলব না। তবে এই কঠিন সময়ে যাঁরা পাশে ছিলেন, তাঁদের অনেক ধন্যবাদ। আজকে আমাকে ঘরে ফেরাতে অনেকে এসেছেন, দেখে খুব ভালো লাগছে। আমি সবার পাশে থাকব।” তৃণমূলে ফিরবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে বলেন, “দল আমাকে বহিষ্কার করেছে। সেই খবরে দুঃখ পেয়েছিলাম। তবে দলে ফেরার আবেদন জানাব না। ফিরিয়ে নিলে যাব।”

তারপরই বিস্ফোরক দাবি করেছেন শান্তনু। তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা বলেন, “অনেক কিছু দেখেছি। অনেক লোকের সঙ্গে থেকে বুঝেছি, তাঁরা দলে থেকে গদ্দারি করছেন। অন্য দলের সঙ্গে ব্যালেন্স করে চলে। কারও মাধ্যমে নেতৃত্বের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব। আমার বিশ্বাস এমন অনেক কিছু বিষয় আছে যা দল অবধি পৌঁছয়নি। সামনে নির্বাচন। মনে হয় দলকে সর্তক হয়ে এই বিষয়গুলি দেখা উচিত।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *