সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি চাকরি হারানোর ভয়! একরত্তি চতুর্থ সন্তানকে জঙ্গলে পাথরের তলায় চাপা দিয়ে এলেন শিক্ষক বাবা। রাতভর পিঁপড়ের কামড়, ঠান্ডাও বিপজ্জনক পরিবেশ সহ্য করে প্রাণে বাঁচল তিনদিনের শিশু। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ছিন্দোয়ারার। অভিযুক্ত বাবার নাম বাবলু ডান্ডোলিয়া। মায়ের নাম রাজকুমারি ডান্ডোলিয়া। বাবলু স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক। সম্প্রতি, রাজকুমারি চতুর্থবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এদিকে মধ্যপ্রদেশ সরকারের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, দুইয়েরল বেশি সন্তান নেওয়া যাবে না। দম্পতির তৃতীয় সন্তান রয়েছে। তারপর চতুর্থ সন্তান পৃথিবীতে থাকলে, যেতে পারে সরকারি চাকরি। তাই স্ত্রী গর্ভবতী বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। বাড়িতেই চতুর্থ সন্তানের জন্ম দেন রাজকুমারি। তারপরই একরত্তিকে নন্দনওয়াড়ির জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসেন অভিযুক্ত। পাথরে চাপা দিয়ে দেন বলেও অভিযোগ।
সকালে এলাকায় প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পারেন স্থানীয়রা। তাঁরাই শিশুটিকে উদ্ধার করে খবর দেয় পুলিশে। দ্রুত একরত্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সারারাতে শিশুটির গায়ে কামড়েছে একাধিক পিঁপড়ে, পাথরে চাপা থাকার কারণে রক্তাক্ত হয়েছে সে। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের অনেক নিচে নেমে যায়। তবে সে বেঁচে রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যা অলৌলিক! বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া এক বাসিন্দা বলেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম কোনও জন্তু কাঁদছে। কিন্তু কাছে যেতেই ভুল ভাঙে। দেখি সদ্যোজাত পাথরের তলায়।”
এদিকে অভিযুক্ত বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৯৩-এর অধীনে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। এসডিওপি কল্যাণী বারকাদে বলেন, “আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি। আইনি পর্যালোচনার পর ১০৯ ধারা (হত্যার চেষ্টা)-সহ আরও ধারা যুক্ত করা হতে পারে।”