ত্রিকোণ প্রেমের টানাপোড়েন? বাড়ি ফিরতেই স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্রের ‘কোপ’ স্বামীর

ত্রিকোণ প্রেমের টানাপোড়েন? বাড়ি ফিরতেই স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্রের ‘কোপ’ স্বামীর

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক! তার জেরেই ধারালো অস্ত্রের কোপে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁয়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূর নাম সুপ্রিয়া হালদার। বয়স ৩১ বছর। তিনি উদয়পুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। বছর দেড়েক আগে উদয়পুরের উজ্জ্বল হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় সুপ্রিয়ার। তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। উজ্জ্বল পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন। বিয়ের পর বাইরে চলে যায় তাঁরা। মাসখানেক আগে দম্পত্তি ভিনরাজ্য থেকে বাড়িতে ফেরে। তবে তাঁদের মধ্যে মাঝে মধ্যেই ঝামেলা বেধেই থাকত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

দিন কয়েক আগে গৃহবধূ বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি ফেরেন। অভিযোগ সেই সময় উজ্জ্বল দা দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপায়। ঘরের মধ্যেই লুটিয়ে পড়ে সুপ্রিয়া। চিৎকার শুনে আসেন ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাদের দেখে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। পুলিশে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। পুলিশ সুপ্রিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বনগাঁ থানার পুলিশ। প্রতিবেশী পার্বতী হালদার ও প্রভাস হালদার বলেন, “ওরা ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। সুপ্রিয়া বাড়িতে ছিলেন না। উজ্জ্বল বাড়িতেই ছিলেন। আজকের দুপুরেই ওর বউ বাড়িতে আসে। তারপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে স্ত্রীকে।” তবে কী কারণে খুন তা নিয়ে দ্বন্দ্বে রয়েছেন এলাকার মানুষ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কী কারণে খুন স্পষ্ট নয়। পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এদিকে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন উজ্জ্বল। বর্তমানে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *