‘তৃণমূল-বিজেপির সঙ্গে আঁতাত’, অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে জঙ্গিপুরের কাউন্সিলরকে শোকজ কংগ্রেসের

‘তৃণমূল-বিজেপির সঙ্গে আঁতাত’, অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে জঙ্গিপুরের কাউন্সিলরকে শোকজ কংগ্রেসের

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


শাহজাদ হোসেন, ফারাক্কা: অনাস্থা প্রস্তাবের জেরে এবার দলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের পথে কংগ্রেস। জঙ্গিপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জুম্মা খানকে শোকজ করল হাত শিবির। অভিযোগ, দলের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে বিজেপি ও তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবে সাক্ষর করেছেন জুম্মা। যার জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের পথে দল।

পুরভোটে ২১টি ওয়ার্ডের জঙ্গিপুর পুরসভায় জয় ছিনিয়ে এনেছিল তৃণমূল। চেয়ারম্যান হন মফিজুল ইসলাম। কিন্তু এই পুরবোর্ড নিয়ে গত একবছর ধরে বিতর্ক লেগেই ছিল। এই পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার শাসকদলের ৮ জন ও বিরোধীদলের ৩ জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। অভিযোগ তোলা হয় উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে, পুরবোর্ড ঠিকমতো কাজ করছে না। এই তালিকায় ছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর জুম্মা খান। দলের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে এই প্রস্তাব আনার জেরে এবার তাঁকে শোকজ করল হাত শিবির।

শনিবার এই ইস্যুতে নোটিস জারি করেছে মুর্শিদাবাদ কংগ্রেস। যেখানে বলা হয়েছে, ‘জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে তৃণমূল ও কংগ্রেসের তরফে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সাক্ষর করেছেন আপনি। এই পদক্ষেপের আগে দলের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। দলের অনুমতি ছাড়া এমন অযাচিত পদক্ষেপ দলের ভাবমূর্তিকে আঘাত করেছে। ফলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আপনাকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’ অনুমান করা হচ্ছে, শীঘ্রই অভিযুক্ত ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে কংগ্রেস।

এদিকে অনাস্থা প্রস্তাব প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম বলেন, “শহরের কাজ ভালোই চলছিল। রাস্তাঘাট সব উন্নত হয়েছে। হ্যাঁ, আবর্জনা ফেলার জায়গা নিয়ে একটা সমস্যা রয়েছে। সেটাও ঠিক হয়ে যাবে। অনাস্থার বিষয়টি দলকে জানিয়েছি। দল যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।” জঙ্গিপুরের এই সমস্যার নেপথ্যে বিধায়ক ও চেয়ারম্যানের সংঘাতকে দায়ী করছে ওয়াকিবহাল মহল। অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে চেয়ারম্যানের ঝামেলার দীর্ঘদিনের। বিধায়ক বিভিন্ন অনিয়মের কথা উল্লেখ করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। অনুমান বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা যার জেরেই এই অনাস্থা প্রস্তাব আনেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *